ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক পদ্মশ্রী কালীপদ সোরেন

0
3

রবিবাসরীয় ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চমকে ভরা সেই তালিকায় অন্যতম বড় চমক পদ্মশ্রী কালীপদ সোরেন। তাঁকে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পান তিনি। গত মাসেই জঙ্গলমহল সফরের শেষদিনে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভায় কালীপদ সোরেনের হাতে বঙ্গবিভূষণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সাঁওতালি সাহিত্যজগতের “নক্ষত্র” বলা হয় কালীপদ সোরেনকে। তিনি খেরওয়াল সোরেন নামেই সাহিত্যচর্চা করে থাকেন। কলেজ জীবন থেকেই ‘রিমিল’ নামের একটি সাঁওতালি পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেন তিনি। সাহিত্যিক কালীপদ চাকরি করতেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরি জীবনে তিনি কোনও প্রমোশন নেননি শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চার জন্য। শুধু পত্রিকা সম্পাদনাই নয়, কলকাতায় থাকাকালীন তিনি কলকাতায় বসবাসকারী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য একটি নাট্যদলও তৈরি করেন।

২০০৭ সালে ‘চেৎরে চিকায়েনা’ নাটকের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান কালীপদ সরেন। ২০১৯ সালে দিব্যেন্দু পালিতের বাংলা উপন্যাস ‘অনুভব’ সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করে আবারও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও পেয়েছেন সাঁওতালি লেখক সংগঠনের পুরস্কার, রঘুনাথ মুর্মু ফেলোশিপ, অনগ্রসর কল্যাণ বিভাগের পুরস্কারও। ২০২২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান তিনি। ২০২৪ সালে পান রাজ্য সরকারের পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’। এবার ঝাড়গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজি কালীপদ।

আরও পড়ুন- প্রার্থী না হতে পেরে ‘অখুশি’ অর্জুনের শুভেচ্ছা পার্থকে, দল বললে করবেন প্রচারও