ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ হল না এখনও, কিন্তু কৃষকদের প্রতিবাদের কণ্ঠ রোধ করতে একের পর এক কঠিন পদক্ষেপ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Government)। পাল্টা চাপ বাড়াতে এবার রেল রোকো (Rail Roko Protest)অভিযানের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। আজ দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে এই আন্দোলন। মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ৬০টি জায়গায় রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। এর কারণে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের পরিষেবা বিপর্যস্ত হতে পারে। লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বাধার মুখে পড়েছে।
কৃষি ঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন, পুলিশ মামলা প্রত্যাহার সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার যে আন্দোলন তা অন্যায়ভাবে স্তব্ধ করতে কড়া দমন নীতি নিয়েছে বিজেপি। আন্দোলনকারীদের বাধা দিতে গিয়ে বারে বারে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ বেঁধেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্ত-সহ রাজধানী গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি থেকে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কৃষকদের ডাকা দিল্লি চলো অভিযানের জেরে।কংক্রিট ও লোহার ব্যারিকেড, জল কামান, ড্রোন ব্যবহার করে ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল – কোনও কিছুই যে তাঁদের প্রতিহত করতে পারবে না সে বিষয়টা আন্দোলনকারী কৃষকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এবার রেল পরিষেবা ব্যহত করে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিতে চায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা। বিকেল ৪টে অবধি রেল অবরোধ করা হবে বলেই জানিয়েছেন কিষাণ মজদুর মোর্চার প্রধান সারওয়ান সিং পান্ধের। ইতিমধ্যেই ফিরোজপুর, গুরুদাসপুর, অমৃতসর, রূপনগর সহ একাধিক জায়গায় রেললাইনের উপরে বসে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন শাখা সংগঠনও এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে বলে খবর। রেল রোকো অভিযান ঘিরে আম্বালায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।