ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তালিকায় অনেক চমক রয়েছে বটে। তবে গোটা রাজ্যের নজর ছিল বসিরহাট কেন্দ্রের দিকে। কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে তুঙ্গে ছিল আগ্রহ। কারণ, এই কেন্দ্রের মধ্যেই সন্দেশখালি। এই সন্দেশখালি নিয়ে সম্প্রতি তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আবার বিতর্কের আবহে একবারের জন্যও সন্দেশখালি মুখো হয়নি স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান। ফলে এবার যে টলি অভিনেত্রী টিকিট পাচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী কে হবেন, সেটা নিয়ে চলছিল তুমুল জল্পনা চলছিল। অবশেষে ব্রিগেড ময়দান থেকে সেই জল্পনার অবসান। বসিরহাটে দলের পুরনো সৈনিকের ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একাধিক চমকের পাশাপাশি বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। এর আগে তিনি লোকসভা আসনেও জানিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তাঁকে এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতেও ছিলেন। যদিও অন্য একটি কারণে ২০১৪ সালে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে দাঁড় করাতে চাইনি তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সালে তাঁকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁকে ফের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড় করায় তৃণমূল কংগ্রেস।
সম্প্রতি, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বসিরহাট কেন্দ্র থেকে কোনও ঝুঁকি নিয়ে চায়নি শাসক দল। আর সেই কারণেই বসিরহাট কেন্দ্রকে হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের লোককেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন তৃণমূল।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: প্রার্থী খুঁজতে এবার কর্পোরেট কায়দায় ইন্টারভিউ স্ট্যালিনের