প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ নির্বাচনের প্রচারে এসে নিজেই বললেন উত্তরবাংলা কীভাবে তাঁদের সমৃদ্ধ করেছে। তারপরেও শিক্ষা থেকে বাসস্থান, চাকরি থেকে জনজাতি উন্নয়ন – কোনও বার্তাই পাওয়া গেল না মোদির সভা থেকে। প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে ৪৫০০ কোটির প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেও তা মূলত রেল ও সড়কের প্রকল্প। যে চাবাগানের শ্রমিকদের বক্তব্যের শুরুতে প্রণাম জানাতে শোনা যায় মোদিকে, সেই চা শ্রমিকদের জন্যও নতুন কোনও আশ্বাস দিতে পারলেন না তিনি। শেষপর্যন্ত সেই রামমন্দির আর কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনেই সভা জমাতে হল তাঁকে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চা বাগানে কর্মরত সব চা শ্রমিককে এক চাওয়ালার প্রণাম। বাংলার এই এলাকা চা বাগান আর চা শ্রমিকদের এলাকা। এখানে জল ও কাঠের সংস্থান করতে মহিলাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়।” কিন্তু তার জন্য পানীয় জল প্রকল্প বা উজ্জ্বলা যোজনার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি ছাড়া এদিন আর কিছুই শোনা যায়নি। শুধুমাত্র পাটের এমএসপি ২৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৩০০ টাকা করার পুরোনো ঘোষণাকেই আবার বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
ভুয়ো জবকার্ড প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা আটকে থাকার কথা উল্লেখ করেন মোদি। কিন্তু বাংলার ন্যায্য পাওয়া নিয়ে কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি তাঁর মুখে। আবাস থেকে পর্যটন নানা দিকে উন্নয়নের কথা বললেও তাতে সাধারণ মানুষের জন্য কোনও বার্তা না থাকায় শেষে রামমন্দির তৈরি ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে টেনে জনতার হাততালি কুড়াতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ফাঁপা প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, “নরেন্দ্র মোদি বুঝে গিয়েছেন ভারতবর্ষের ৫িস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে তাঁরা গোহারা হারতে চলেছেন। বাংলাতেও হারতে চলেছেন। মরিয়া হয়ে আসছেন। এরা যত বেশি আসবেন তত বেশি মানুষ একাট্টা হয়ে নো ভোট টু বিজেপি বলবে।”
শনিবার মঞ্চ থেকে বিরোধীদের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মোদির মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চে রেখে নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতি আর পরিবারবাদের কথা বলছেন। হাস্যকর।”