ভারতীয়দের বয়কটের কারণে পর্যটনে ‘ধস’! ক্ষমা চেয়ে ফের মালদ্বীপে যাওয়ার আহ্বান প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের

0
1

ভাঙবেন তবু মচকাবেন না! বর্তমানে এমনই দশা মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ভারত (India) ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সময় যত যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন আবহে মালদ্বীপের ক্ষতি প্রসঙ্গে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ (Md Nashid)। পাশাপাশি তিনি একথা স্বীকার করেছেন ভারতীয়দের (Indians) আচমকা বয়কটের কারণে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প (Tourism Industry)। তবে তিনি চান ফের আগের ছন্দে ফিরে আসুক মালদ্বীপ। আর সেকারণেই ভারতীয়দের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি।

ভারত এবং মালদ্বীপের দড়ি টানাটানি খেলার মধ্যেই মুইজ্জু সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ১০ মে-র পর উর্দিতে বা অসামরিক পোশাকে কোনও ভারতীয় বাহিনী যেন আর মালদ্বীপে না থাকেন। গত মঙ্গলবার একটি জনসভায় মুইজ্জু সাফ জানান, ‘‘১০ মে-র কোনও ভারতীয় বাহিনী এ দেশে কোনও ভাবেই থাকবে না। একথা আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি।’’ এরপরেই নতুন করে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয়রা। আর তা নিয়েই এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। নাশিদ সাফ জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের বয়কট মালদ্বীপে অনেক বড় প্রভাব ফেলেছে। আমি বর্তমানে ভারতে থাকলেও আমি মালদ্বীপ নিয়ে খুব চিন্তিত। পাশাপাশি তিনি বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা মালদ্বীপের মানুষ ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা চাই, ভারতীয়রা ছুটি কাটাতে মলদ্বীপে আসুন। আগামীদিনে আমাদের আতিথেয়তায় কোন ত্রুটি থাকবে না।’’ তবে নাশিদ মুখে যাই বলুন তিনি যে পাল্টা মুইজ্জু প্রশাসনের উপর যে পাল্টা চাপ তৈরি করতে চাইছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

নাশিদ জানান, সব সময়ই চাপ তৈরি করার পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী ভারত। তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট যখন ভারতীয় সেনাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে, তখন ভারত শক্তি প্রদর্শন না করে আলোচনার রাস্তা বেছে নিয়েছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, মুইজ্জু সরকারের নেতৃত্বে সম্প্রতি মলদ্বীপ এবং চিনের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির সমালোচনাও করেছেন নাশিদ। তাঁর চোখে এটি কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি নয়, অস্ত্রশস্ত্র হাতে পাওয়ার নয়া কৌশল।