পদ্মভূষণ সুধা মূর্তিকে (Sudha Murty) রাজ্যসভার জন্য মনোনিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শুক্রবার এই ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী থেকে উপরাষ্ট্রপতি তাঁকে অভিনন্দন জানান। সমাজ সংস্কারক ও লেখিকা সুধা মূর্তির মনোনয়নের ঘোষণা আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখেই শুক্রবার করা হয়। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার পথও প্রশস্ত করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
দেশের অন্যতম বৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস-এর (Infosys) কর্ণধার নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি সুধা মূর্তি দীর্ঘদিন ধরেই নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করে এসেছেন। এক সময় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সুধা মূর্তি কর্মজীবন থেকে সরে আসার পরেও থেমে থাকেননি। ৭৩ বছরের দিগদর্শীকে তাঁর শিক্ষাক্ষেত্র থেকে গঠনমূলক উন্নয়ন (philanthropist), নীতিশিক্ষা ও মানুষের জীবন নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিমূলক জ্ঞান, মানুষের মধ্যে আলাদা স্থানে এনে দিয়েছে। এর স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে ভারত সরকার। ২০২৩ সালে তিনি দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হন।
তবে সম্পর্কে তিনি ইংল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির মা। কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে নারায়ণ মূর্তি ও সুধা মূর্তি দুজনেই জানিয়েছিলেন মেয়ে-জামাইয়ের রাজনৈতিক জীবনে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। তবে মেয়ে অক্ষতা কখনও কোনও বিষয়ে পরামর্শ চাইলে তিনি তাঁকে সাধারণ মানুষের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে বিচার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর শাশুড়ি হিসাবে ভারতের কূটনীতিতে তাঁর প্রাথমিকভাবে কোনও ভূমিকা নেই মনে হলেও ভবিষ্যতে যে তেমন কোনও পথ খুলবে না এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কূটনৈতিক মহল।