ব়্যাম্প-এ মঞ্চ থেকে জনতার মাঝে! ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জনের প্রস্তুতি দেখলেন অভিষেক

0
1

আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট-ডাউন (Countdown)। আগামী রবিবার ১০ মার্চ ব্রিগেড তৃণমূলের (TMC) মেগা সমাবেশ (Mega Rally)। লোকসভার(Loksabha Election) আগে রাজ্যের শাসক দলের তরফে এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে “জনগর্জন”! অর্থাৎ, ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, বাংলার ন্যায্য পাওনা মেটায় নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government)। তাই বাংলার বঞ্চিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লোকসভার আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের Modi Government) বিরুদ্ধে গর্জন তুলবে। তারই প্রস্তুতি দেখতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রিগেডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সঙ্গে বেশকিছু দলীয় নেতৃত্ব।

রেকর্ড সংখ্যক মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে ব্রিগেডে। সঙ্গে থাকছে ৩০০ ফুট লম্বা ব়্যাম্পও! এই প্রথম মূল মঞ্চ থেকে মাঠের চারপাশে করা হয়েছে এই অভিনব ব়্যাম্প। ব্রিগেডের সভায় দূরাদূরান্ত থেকে আসবেন বহু মানুষ। মঞ্চ থেকে অনেকটা দুরে বসে হয় তাঁদের। ফলে মঞ্চে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ মেলে না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক, সকলকেই ধরাছোঁয়ার মধ্যে পাবেন ব্রিগেডের জনতা। তৃণমূল সূ্ত্রে খবর, ১০ মার্চ মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময়ে ওই ব়্যাম্প দিয়ে হেঁটে ব্রিগেডের একেবারে শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন নেতৃত্ব। এই ব়্যাম্প- এর মাধ্যমে মমতা – অভিষেক তাঁদের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাবেন সাধারণ মানুষের কাছে।

এদিন মূল মঞ্চ সহ সেই ব়্যাম্প খতিয়ে দেখেন অভিষেক। মঞ্চের দায়িত্বে যাঁরা আছে, তাঁদের দিলেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। কথা বললেন নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন তাঁদের সঙ্গেও। ভিক্টোরিয়ার দিকে পিছন করে অর্থাৎ ব্রিগেডের দক্ষিণ দিকে বাঁধা হয়েছে বিশালাকার মঞ্চ। সমান্তরালে দুপাশে আরও দুটি মঞ্চ। মূল মঞ্চ থেকে মাঠের উত্তর দিকে প্রায় ৩০০মিটার পর্যন্ত সোজা চলে গিয়েছে ব়্যাম্পও। পূর্ব ও পশ্চিম দিকেও প্রায় ১০মিটার করে চলে গিয়েছে ব়্যাম্পও। অর্থাৎ মমতা বা অভিষেক মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখতে রাখতে কডলেস মাইক্রোফোন নিয়ে চলে যাবেন জনতার মাঝে। সবমিলিয়ে ১০ মার্চ ব্রিগেডকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উন্মদনা তৈরি হয়েছে তৃণমূলে।

ব্রিগেড ঘুরে এদিন কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে যান অভিষেক। যেখানে মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন অভিষেক। যাওয়ার আগে দিয়ে যান প্রয়োজনীয় নির্দেশ। এই গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে দুই জেলার প্রায় ২০ থেকে মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই এখানে মানুষ আসতে শুরু করবেন।