সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে গলায় বিজেপির উত্তরীয় পরে হাতে গেরুয়া দলের পতাকা ধরেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তাঁর বিজেপিতে যোগদানকে ভাল চোখে দেখছে না চাকরিপ্রার্থীরা। চেয়ারের অপব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গোছানোর তাড়া রয়েছে অভিজিতের, কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার (Sashi Panja)। অপরাধীদের অংশীদার হয়ে উঠলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বলছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

এক পাশে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অন্য পাশে সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির পতাকা হাতে তুলে দেওয়ার পর বক্তব্য পেশ করবেন কীভাবে ? দাঁড়িয়ে বলবেন নাকি বসে- সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী করে নেবেন, তিনি তো দুর্নীতিগ্রস্ত দলের নেতাদের নির্দেশ মানতে ব্যস্ত। তাই একবার সুকান্ত বললেন দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে আবার পরক্ষণেই শুভেন্দু বললেন বসে কথা বলতে। বুধবার তাপস রায় যেভাবে বিজেপির ‘জমিদার’দের কাছে মাথা বিকিয়ে দিয়েছিলেন, আজ সেই পথেই পা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিজিতের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, দিনের পর দিন বিচারপতির আসনকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় যেভাবে নিজের মর্জি চালিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের জন্য মন্তব্য করেছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে ক্যারিয়ার গোছানোর তাড়া ছিল ভদ্রলোকের। বিজেপির তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাই মানুষ এর জবাব দেবে মন্তব্য শান্তনু সেনের। সেই কারণেই চেয়ারের অপব্যবহার করে বিজেপি নেতাদের সুনজরে আসার চেষ্টা করেছেন। এজলাসের মধ্যে তিনি যা যা করেছেন এবং এখন যা করছেন এই দুই মিলিয়ে বিজেপি বিরোধীদের কটাক্ষ শুনতে বাধ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।








































































































































