একদিকে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে ভোট প্রচারে যখন মগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই দিনই শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি জাতিগত অপমানের বিচার চেয়ে শহরের পথে নামলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। বিধানসভার বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। যদিও এদিনও তাঁদের দাবি নিয়ে এতটুকু সহমর্মিতা দেখা যায়নি বিজেপির তরফে।
২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিককে “খালিস্তানি” উল্লেখ করে সমালোচনার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনার পরই লাগাতার বিজেপি সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। শুভেন্দু অধিকারীর শাস্তির দাবিতে সরব হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। তবে বিজেপির তরফ থেকে কোনও দুঃখপ্রকাশ তো দূরের কথা, কোনও বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
একদিকে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলছেন নরেন্দ্র মোদি, তখন জাতিদাঙ্গার প্ররোচনা দেওয়া দলেরই নেতার বিরুদ্ধে নীরবতা খুবই নজর কাড়ে বুধবার। তাই ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার আন্দোলন চালানো শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বুধবারও বিক্ষোভ দেখান মুরলিধর সেন লেনের পার্টি অফিসের সামনে। মহিলারা শাস্তির দাবিতে সরব হন। সেখান থেকে মিছিল করে কলুটোলা মোড়ে এসে শুভেন্দু অধিকারীর কুশপুতুল পোড়ান।