সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই! হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

0
2

মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকেও এদিন বিকেল সাড়ে ৪ টের মধ্যে সিআইডি হেফাজত থেকে সিবিআই-এর কাছে প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যদিও জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই সিবিআই আধিকারিকরা শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবন পৌঁছে যান। কিন্তু দু ঘন্টা অপেক্ষা করার পর তাদের ফিরতে হয় খালি হাতেই।

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় সিট খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট ৩টি মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। শেখ শাহজাহান এবং মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। তাদের উপর চড়াও হন শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধরের চোটে ইডি অফিসারের মাথাও ফাটে। সেই ঘটনার ৫৬ দিনের পর ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

প্রসঙ্গত, রিমান্ড লেটারে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে পুলিশও। রিমান্ড লেটারে পুলিশ দাবি করে, ইডি অফিসারদের উপর হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শেখ শাহজাহান। একইসঙ্গে তাঁকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে পুলিসও। শেখ শাহজাহানের জামিনের বিরোধিতা করে ও তাঁকে হেফাজতে পেতে রিমান্ড লেটারে পুলিশ উল্লেখ করে, তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে গা ঢাক দিতে পারেন। প্রভাব খাটাতে পারেন। এমনকি সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। আরও উল্লেখ, ইডি অফিসারদের আটকানোর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান।

আরও পড়ুন- বুধে গঙ্গার তলায় মেট্রোর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, মঙ্গলেই পৌঁছালেন শহরে