পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে এবার নয়া ‘অস্ত্র’ প্রয়োগের ভাবনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

0
3

সময় যত গড়াচ্ছে পরমানু হামলার পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে রাশিয়া। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই হুমকিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না আমেরিকা। এমন আবহে পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে এক নয়া অস্ত্র প্রয়োগ করছেন পুতিন। তাঁর পশ্চিম বিরোধী অভিযানে নয়া অস্ত্র হয়ে উঠেছে এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং যৌনতা। এই দুই অস্ত্রেই পশ্চিমী সমাজকে একেবারে কোনঠাসা করে তুলতে চাইছেন তিনি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি প্রফেসর নিনা জানকোভিচের। ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের ডিসইনফরমেশন টাস্ক ফোর্সের এই প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পশ্চিমের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এর আগেও রাশিয়া তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ‘এআই ডিপফেক পর্নোগ্রাফি’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এছাড়াও এআই ব্যবহার করে ক্রেমলিন কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই বিষয়ে তিনি চিন্তিত বলেও মন্তব্য করেছেন। নিনার দাবি, পশ্চিমী সমাজকে ধ্বংস করার লক্ষ্যেই রাশিয়া নকল পর্নোগ্রাফি ব্যবহার করছে। তাঁর আরও অভিযোগ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের শুধুমাত্র একটি নগ্ন ছবি দরকার। আর তা দিয়েই একটি বাস্তবসম্মত ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করা যেতে পারে। তবে কৌশলগতভাবে এই ভিডিয়ো ব্যবহার হলে, তা সমাজে এক নৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে জর্জিয়া এবং ইউক্রেনের মহিলা রাজনীতিবিদদের ডিপফেক পর্ন ছড়িয়েছে রাশিয়া। নিনার মতে, ডিপফেক পর্নোগ্রাফি ব্যবহার করে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করতে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে চাইছে যদি রাশিয়া। তিনি বলেছেন, “এই ক্ষেত্রে মহিলাদের নিশানা করা এক দুর্দান্ত উপায়।”