“স্কুল এডুকেশনে সবথেকে বেশি পকেটমারি করেছে কে?“ সোমবার তমলুকের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে (Shubhandu Adhikari) ধুয়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। টাকা লুঠ থেকে স্কুল শিক্ষায় ‘পকেটমারি’- সব ইস্যু নিয়ে গদ্দারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, “স্কুল এডুকেশনে সবথেকে বেশি পকেটমারি করেছে কে? ভুল গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের লোক? কার বিনিময়ে চাকরিটা আপনার হয়েছিল? কীসের বিনিময়ে? খবর আমি রাখি।“ একই সঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করে মমতা বলেন, “যখন পার্টিতে ছিল সবথেকে বেশি খেয়েছে”। বিরোধীরা মামলা করে রাজ্যে নিয়োগ আটকে দিচ্ছে বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারকে তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগে বলেন, “গদ্দারদের কমরেড, গদ্দারবাবু। আমি নাম বলি না। নাম বলতে আমার লজ্জা লাগে। যখন পার্টিতে ছিল, তখন সবথেকে বেশি পেয়েছে। যেটা আমরা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। সবথেকে বেশি খেয়েছে। কিন্তু লঙ্কাকাণ্ডের মতো যাতে নিজে ধরা না পড়ে, সেজন্য কোর্টে গিয়ে গরিব ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়ে সাধু সেজে বসে আছেন। এই সাধুদের চক্রান্ত আমরা বের করব।“
বিস্ফোরক অভিযোগ করে মমতা বলেন, “জোর করে গায়ের জোরে কাউকে খুন করে, কারও থেকে লুঠ করে, টাকার জোরে নিজে কোটি-কোটি মালিক হয়ে অন্যদের বলছে চোর। চোরের মায়ের বড় গলা। বাসে বা ট্রেনে দেখেছেন, যে পকেটমারি করে, সেই প্রথম চোর-চোর বলে। আর তারপর যখন সবাই উঠে দাঁড়ায়, তখন নিজে পালিয়ে যায়।“
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়েও নাম না করে শুভেন্দুকেই নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “স্কুল এডুকেশনে সবথেকে বেশি পকেটমারি করেছে কে? ভুল গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের লোক? কার বিনিময়ে চাকরিটা আপনার হয়েছিল? কীসের বিনিময়ে? খবর আমি রাখি। আমি কারও চাকরি যেতে দেব না। ওরা চাকরি খায়। আজ চাকরি দিই। তাই আমি কাউকে টাচ করছি না। কিন্তু আজকে আমি টাচ করছি না বলে মাথাকে আমি কোনওদিন টাচ করব না! আমায় এতটা বিশ্বাস করবেন না। আমি মানুষকে বিশ্বাস করি।“
একই সঙ্গে নন্দীগ্রাম নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে মামলা চলছে। তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে, লোডশেডিং করে জিতে ছিলেন শুভেন্দু।