জ্ঞানবাপীতে পুজোর বিরোধিতা! এবার মুসলিম পক্ষের আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

0
1

জ্ঞানবাপীতে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। কিন্তু আদৌ পুজো বা প্রার্থনা হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র তরফে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন জানানো হয়েছিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের (CJI D.Y. Chandrachud, Justices J.B. Pardiwala and Manoj Misra)বেঞ্চ জানিয়েছে, জ্ঞানবাপীতে মন্দির প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত মূল মামলায় অংশ হিসাবেই এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বারাণসী জেলা আদালতের রায়ই বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। হাইকোর্ট একেবারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজো, আরতি করতে পারবেন হিন্দুরা। প্রাথমিক ভাবে জেলা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এলাহবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। সেখানেও নিরাশ হতে হয় তাদের। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় তারা। সেই মামলাই গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত বলে জানা যাচ্ছে। মসজিদ কমিটির তরফে দাবি জানানো হয়, যে ১৯৯৩ সালের আগে জ্ঞানবাপী চত্বরের কোথাও পূজার্চনা বা আরতির কোনও প্রমাণ হিন্দুপক্ষ দিতে পারেনি। এরপরই হাইকোর্ট জানায় যে ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই তার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের আগে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। দক্ষিণের ওই অংশে বেশ কয়েকটি হিন্দু দেবদেবীর বিগ্রহ থাকার প্রমাণ রয়েছে। আর সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখেই তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও জটিলতা কাটেনি। ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী (ওজুখানা ও তহখানা) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, সেটিই মূল মামলা। এখন মুসলিম পক্ষের মামলা শোনার পর কী রায় দেয় শীর্ষ আদালত সেটাই দেখার।