উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে (Workers) লাগাতার চেষ্টার পর দিনের আলো দেখিয়েছিলেন। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের মানুষদের কাছে। এবার সেই ‘র্যাট হোল মাইনার্স’দের (Rat Hole Miners) এক অন্যতম শ্রমিক উকিল হাসানের মাথার ছাদ কেঁড়ে নিল দিল্লি প্রশাসন। হ্যাঁ , শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ডিডিএ (DDA) কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি ওই নির্মাণ নাকি বেআইনি। আর সেকারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর দিল্লি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পর সব মহল থেকেই উঠতে শুরু করেছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেরই অভিযোগ, যারা উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বহু চেষ্টার পর ১৭ দিন পরে বাইরে বের করে আনলেন তাঁদের এমন অবস্থা সত্যি অকল্পনীয়।
এদিকে র্যাট হোল মাইনার্স শ্রমিক উকিল হাসানের পাশাপাশি যাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁদের অভিযোগ, কোনওরকম নোটিশ ছাড়াই এমন বেআইনি কাজ করেছে ডিডিএ। যদিও তাঁদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে উকিল হাসান সাফ জানান, “৪১ জন শ্রমিককে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করার পুরস্কার পেলাম। আমাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেন আমাকে সাহায্য করুন। ওরা আমাকে ধরেছে। আমার বাচ্চাদেরও থানায় ধরে রেখেছে। মারধরও করা হয়েছে। তবে ডিডিএ-র দাবি, যে সব বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সব বাসিন্দাদেরই আগে থেকেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবুও তাঁরা বাড়ি ছাড়েননি। এদিকে র্যাট হোল মাইনার্স দলের অন্যতম মুন্না কুরেশি বলেন, “সরকার আশ্বস্ত করেছিল আমাদের সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা আমাদের বাড়িই ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী শহরের বর্তমান পরিস্থিতি।
অন্যদিকে বর্তমানে সবকিছু হারিয়ে উকিল হাসান বলেন, “টানেলে ১৭ দিন আটকে পড়া শ্রমিকদের সফলভাবে বের করে আনার পরে তাঁরা আমাকে আলিঙ্গন করেছিলেন, অসংখ্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন। আজ আমার মাথার উপর ছাদ নেই, আমি পরিবার নিয়ে পথে বসে আছি।”