বাঁকুড়ার ২টো লোকসভা আসনই গতবার গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। কিন্তু তাঁর ক্যারিশ্মা যে সেখানে এতটুকু কম নয় তার প্রমাণ মিলল বাঁকুড়ার (Bankura) প্রশাসনিক সভা। বুধবার, খাতড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঢুকতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত জনতা। এদিন, প্রশাসিক সভা, পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মমতা ম্যাজিকে মাতল বাঁকুড়া। প্রিয় ‘দিদি’কে দেখতে জনসমুদ্রের আকার নিল সভা।
সোমবার, দুর্গাপুর দিয়ে সফর শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেখানে তাঁর কোনও প্রশাসনিক কর্মসূচি ছিল না। মঙ্গলবার যান পুরুলিয়া। সেখানে থেকে বিকেলেই আসেন বাঁকুড়া। তখনই টের পাওয়া যায়, কী বিপুল জন সমর্থন রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। রাস্তার দুধারে তাঁকে একঝলক দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। আর সেই ভিড়ই জনসমুদ্রের আকার নেয় খাতড়ার সভায়।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের তুলনা টেনে ভুল করবেন না! নাম না করে সন্দেশখালি নিয়ে তোপ মমতার
এদিনের সভায় লক্ষ্য করার মতো ছিল যুব প্রজন্মের ভিড়। কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, রূপশ্রী-সবাই হাজির ছিলেন খাতড়ার সভায়। চারিদিকে শুধু কালো মাথা। শুধু তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক নন, ছিলেন অগণিত স্থানীয় মানুষ। তাঁদের হাতে ছিল রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের নামের প্ল্যাকার্ড। আর ছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া মহিলারা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান তাঁরা। বয়স্করা করেন প্রাণ ভরা আশীর্বাদ। বাংলার উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, আর ছাত্র-যুব থেকে সব বয়সের মানুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে।
এই সভা থেকেও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন বঞ্চিত ৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে টাকা দেবে রাজ্য। তুমুল হাততালি দিয়ে তাঁকে সমর্থন করেছে জনতা। পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির হুইল চেয়ার ঠেলতেও দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
অনুষ্ঠানের শেষে মঞ্চে ধামসা বাজিয়ে, আদিবাসী নৃত্যশিল্পী আর রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডির সঙ্গে গানের তালে পা মিলিয়ে জনসমুদ্রকে উত্তাল করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সবার মুখ একটাই স্লোগান, “জয় মমতা, জয় বাংলা”। আর এই উচ্ছ্বাসই ইঙ্গিত দেয় ১০ মার্চ বিগ্রেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’য় রেকর্ড জমায়েত হতে চলেছে।