উত্তরপাড়াকাণ্ডে মৃত্যু হল সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের

0
3

উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেন্দ্র এভিনিউ থার্ড লেনের গগণ ভিলার বাসিন্দা শ্যামলী মুখোপাধ্যায়(৭৮) তার ছেলে সৌরভ(৫৫) ও মেয়ে নন্দীতা(চুমকি ৫০) মুখোপাধ্যায় নিজেদের ঘরবন্দি করেছিলেন গত ২২ দিন ধরে।প্রায় না খেয়ে দেয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছিলেন তিনজনই।সৌরভ তার এক আত্মীয়কে ফোন করে শুধু জানিয়েছিলেন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন।সেই আত্মীয় বৈষ্ণব দাস মুখোপাধ্যায় কিছু একটা হয়েছে আন্দাজ করে উত্তরপাড়ায় আসেন ৪ ফেব্রুয়ারি।আত্মীয় বৈষ্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন,গৃহকর্তা গগণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিক অবসাদ তৈরী হয় পরিবারের।বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেন তারা।কারও সঙ্গে যোগাযোগও ছিল না।আমাকে ফোন করে সৌরভ একদিন বলে দাদা আমার শরীর খুব খারাপ।এক মাস আমরা কিছু খাইনি।একবার আসবে।

গত সোমবার আবার আসেন বৈষ্ণববাবু।দরজা বন্ধ থাকায় ভিতর থেকে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানকে খবর দেন তিনি।পুলিশ ডাকেন চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব।উত্তরপাড়া থানার পুলিশ তিনজনকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাদের।আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় সৌরভের।তার মা কিছুটা সুস্থ হলেও বোনের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। মৃত্যুর খবর পেয়ে চেয়ারম্যান দিলীপ যাবদ রাজেন্দ্র এভিনিউ এর ওই বাড়িতে যান।মৃতের পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে হাসপাতালে যান।শেষকৃত্যের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন।

চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন,এই ধরনের মৃত্যুতে নিজেদের অপরাধী মনে হয়।আমাদের পাড়ার একজন মানুষ তারা কতদিন বাড়ি থেকে বের হননি খাননি অসুস্থ ছিল।কোন প্রতিবেশীর সাথে কথা বলেননি কেউ জানতে পারেনি।সমাজে বা প্রশাসনের কারো কাছে কোন সাহায্য চাননি এটা আমাদের কাছে খুব কষ্টের।