“বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা আগে থেকেই জানা ছিল”! দল ছাড়তেই কৌস্তভকে কটাক্ষ কুণালের

0
1

অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হল। শেষমেশ কংগ্রেস (Congress) ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi)। বুধবার কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ৩ পাতার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। তবে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে কৌস্তভের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে কংগ্রেস যে বেশ বেকায়দায় পড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কৌস্তভের দাবি, এখন কংগ্রেসের আত্মসম্মান নেই। পাশাপাশি দলের সঙ্গে তাঁর একেবারেই মতের মিল হচ্ছিল না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করছেন তিনি। তবে লোকসভা ভোটের আগে থেকে এই কংগ্রেস নেতার দলত্যাগের জল্পনা প্রবল হচ্ছিল। দল পাশে না থাকলেও অনেকসময় নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে অনেক মিটিং, মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে কৌস্তভকে। তবে কংগ্রেস ছাড়তেই শুরু জল্পনা শুরু হয়েছে এবার কোন পথে হাঁটবেন কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন মাথা মোড়ানো নেতা? কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চাইছেন তিনি। আর কৌস্তভ কংগ্রেস ছাড়তেই তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা আগে থেকেই জানা ছিল”।

ইতিমধ্যে দলের সভাপতি খাড়গে ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গুলাম আহমেদকে চিঠির কপিও পাঠিয়েছেন কৌস্তভ। তবে কেন তিনি কংগ্রেস ছাড়লেন বুধবার তাঁকে এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কৌস্তভ সাফ জানান, নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস করা সম্ভব নয়। পাশাআশি তিনি আরও জানান, আমার যা যা বলার সবটাই চিঠিতে লেখা রয়েছে। তবে তিনি বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, পরবর্তী কী করছি দেখতে পাবেন শীঘ্রই। চিঠিতে কৌস্তভ উল্লেখ করেছেন, আত্মসম্মান খুইয়ে তিনি কংগ্রেসে থাকতে চান না। তবে তিনি কংগ্রেস ছাড়লেও রাজনীতিতেই থাকবেন বলে সাফ জানিয়েছেন এই আইনজীবী। কৌস্তভের কথায়, শীর্ষ নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেসকে কোনও গুরুত্বই দেয় না। তাই আত্মসম্মানের সঙ্গে সমঝোতা করে দলে থাকতে চাই না। পাশাপাশি এদিন বিরোধী দলনেতারও প্রশংসা শোনা যায় কৌস্তভের গলায়।

সম্প্রতি একাধিক ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল কৌস্তভের। যা নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত তিনি। অন্যদিকে দিন কয়েক আগেই তাঁর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দুকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কৌস্তভ। সেখানে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। আর তারপর থেকেই বাড়ছিল আশঙ্কা। শেষমেশ বুধবার সকালেই হাত ছাড়লেন তিনি।