‘দুয়ারে সরকার’-এর অনুকরণে এবার ‘দুয়ারে ডাকঘর’ পরিষেবা। গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম পরিষেবা দিতে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগ। আসলে গ্রাম থেকে শহর , মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছতে এই উদ্যোগ ডাক বিভাগের।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বদলেছে ডাকঘরের। ২০২৪-এর মার্চ মাসে কলকাতা ডাকঘরের ২৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তাই এই নতুন উদ্যোগে ‘ দুয়ারে ডাকঘর ‘ পরিষেবা নিয়ে এল ভারতের ডাকব্যবস্থা। যার মধ্যে অন্যতম পার্সেল বুকিং। কেউ যদি পার্সেল পাঠাতে চান , সেক্ষেত্রে হেল্পলাইনে ফোন করে পার্সেল বুক করা যাবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক যে ঠিকানা দেবেন , সেখানেই গিয়ে হাজির হবেন ডাক বিভাগের কর্মীরা। বাড়ি থেকে সংগ্রহ করবেন সেই পার্সেল। পরিষেবার জন্য পারিশ্রমিক তখনই সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হবে।
শুধু এখানেই থেমে না থেকে পেনশন এবং ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা নিয়ে ডাকবিভাগ পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের বাড়ির দরজায়, গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায়। মঙ্গলবার কলকাতা জিপিও-র ২৫০ বছর-এর ‘লোগো’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল-এর চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার এই ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ডাক ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে তাঁরা সমস্ত ব্যবস্থাকে কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। তাঁর কথায় , ‘বর্তমান সময়ে ডাক ব্যবস্থা সংক্রান্ত পরিষেবা পেতে ডাকঘরের দরজায় যেতে হয় না, ‘লগ ইন’ করলেই হাতের মুঠোয় পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহকেরা।