সন্দেশখালি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান। সন্দেশখালিতে একের পর ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত বসিরহাটের তারকা তৃণমূল সাংসদ নুসরত শুধু সেখানে যাওয়াই নয়, কার্যত নীরবতা পালন করছিলেন। যদিও ব্যক্তিগত স্তরে বিভিন্ন জায়গায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। যা নিয়ে শুধু এলাকাবাসী বা বিরোধিতা নয়, দলের অন্দরেও সমালোচনা হয়েছে।
অবশেষে সন্দেশখালি ইস্যুতে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত। মুখ খুললেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। বললেন, রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। যেটা ভুল সেটার বিচার হওয়া উচিত। কোনও অন্যায়ের পাশে দল বা মুখ্যমন্ত্রী কেউই নেই। বিনোদন জগতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই মন্তব্য নুসরতের। তাঁর দাবি, দলের নির্দেশেই নাকি তিনি এতদিন সন্দেশখালি যাননি। তাঁর কথায়, “যা ঘটেছে তা শুনেছি। দলের নির্দেশেই সেখানে যাইনি আমি। নিজে রাজনীতির মানুষ নই আমি। সিনেমার অভিনেত্রী। সেই কারণেই আমি অনেক কিছু বিষয় জানি না। সন্দেশখালির মানুষ যখন বলছেন যে কেন আমি সেখানে যাচ্ছি না সে ব্যাপারে বলি দলের সঙ্গে কথা বলার পরেই দলের নির্দেশ মেনেই আমি কাজ করছি। এছাড়াও ওখানে এখন আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভালো নয়। আমি গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেই কারণেই আমি এখনও ওখানে যাইনি।”

আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তিনি সন্দেশখালি যাবেন বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “আমি কেবল এলাকার উন্নয়নের কাজ ছাড়া আর কিছুতেই সেই ভাবে মাথা দিতে পারিনি। আমি আমার সংসদ কেন্দ্রে ছুটে গিয়েছি সমাজ সেবার জন্য। যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায় বলতেই হবে। আমি কোন অন্যায়কেই সমর্থন করি না। তবে দিদির উপর মানুষ আস্থা হারাবেন না। মুখ্যমন্ত্রী যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।

নুসরতের অনুযোগ, কিন্তু কিছু মানুষ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের সমান্তরাল প্রশাসন সাজানো এবং মানুষকে অত্যাচার করার ঘটনা আমি জানতাম না। শাহজাহানরা দোষী কিনা তা আমি বলার কে? সেটা ঠিক করবে প্রশাসন এবং যারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করেন তারাই বলবেন শেষ কথা।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত। শাহজাহানের মাছ সংক্রান্ত ব্যবসা মামলায় ইডি তলব করে ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তকে। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কর্ণধার এই অরুন সেনগুপ্ত। এই কম্পানিটি চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত। সূত্রের খবর , এই কোম্পানির সঙ্গে শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। গত শুক্রবার অরুণ সেনগুপ্তর বিরাটির বাড়িতে তল্লাশি করেছে ই ডি। গতকাল, সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেয় অরুণ সেনগুপ্তর মেয়ে। এরপর মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন অরুন সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ব্রিগেড-নির্দেশিকায় দলীয় প্যাডে অভিষেককে “সেনাপতি” সম্বোধন

 
 
 
 


































































































































