সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে শিখ সম্প্রদায়ের এক আইপিএস অফিসারকে উদ্দেশ্য করে “খালিস্তানি” শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ থেকে শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে ধরনা চলছে এখনও। খালিস্থানে বিতর্কে রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিখরা।
খালিস্তানি মন্তব্য করার জন্য নাম না করে বিরোধী দলনেতার নামে এফআইআর দায়ের করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। ওই নেতার নামে, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না, এমন নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের।সেই মর্মেই মামলা দায়ের করার আবেদন রাজ্যের।

জানা গিয়েছে এই মামলা শোনার এক্তিয়ার রয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। তবে উনি এখন না থাকায় এই মামলা শোনার জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দিক আদালত। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের আইনজীবীর। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মামলা শুনবেন বিচারপতি সেনগুপ্তই। প্রয়োজনে অনলাইনে হবে মামলার শুনানি। আগামিকাল, মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা।

ঘটনাটি ঠিক কী? গত ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। তখনও হাইকোর্টের অনুমতি আসেনি। কলকাতা থেকে সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, শংকর ঘোষ-সহ বিজেপি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ধামাখালিতে তাঁদের আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় রাস্তায়। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, তখন পাগরি পরা এক শিখ পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে খালিস্থানি মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- কুড়মিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী, লোকসভায় জঙ্গলমহলে বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি






































































































































