ফ্লাইট চলাকালীন এদিক থেকে ওদিকে যাচ্ছেন। পাশেই খাবার রাখার তাক। সেদিকে চোখ পড়তেই হঠাৎ দেখলেন কিছু নড়চড়া করছে। একটু নজর করতেই দেখলেন এক আরশোলা দম্পতি সেখানে সুখের সংসার পেতেছে। বিমানযাত্রী হিসাবে আপনার নিশ্চয়ই আঁৎকে ওঠার কথা। হাজার হাজার টাকা, কখনও বা হয়তো লাখ খানেক টাকা দিয়ে বিমানের টিকিট যখন আমরা বুক করি তখন এক বিলাস বহুল, সফরের সঙ্গে নূন্যতম পরিচ্ছন্নতাটাও আশা করে থাকি। সেটা শিয়ালদহ বা হাওড়া স্টেশনের আশেপাশের সস্তার হোটেলের সঙ্গে মিলে যেতেও পারে, এটা স্বপ্নেও কল্পনা করি না।
কিন্তু ইন্ডিগো বিমানে উঠে এরকমই অভিজ্ঞতা হওয়ার পর তরুণ শুক্লা নামে ওই বিমানযাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে বাধ্য হলেন। ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে খাবার রাখার তাকের দিকে তাকিয়েই প্রথমে একজোড়া আরশোলা দেখতে পান। ভালো করে তাকাতেই তাকের নিচে জমে থাকা ময়লা আর তাতে বেশ কয়েকটি আরশোলা ঘুরে বেড়াতে দেখেন তিনি। নিজের ও সহযাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেই সেই ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। পাশাপাশি দাবি করেন, ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ খাবার রাখা বা বিমানের মধ্যে যে কোনও অংশে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবেন এটাই আশা করেন যাত্রীরা। অপেক্ষাকৃত নতুন একটি ফ্লাইট এয়ারবাস এ৩২০-এস-এ এই ধরনের পরিচ্ছন্নতার নমুনা তাঁকে অবাক করে।
যদিও এই পোস্টের পরেই প্রতিক্রিয়া দেয় ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। বিমানে এই ঘটনা জানার পরই তাঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিমানটি পরিষ্কার করা হয়। বিমানে ধোঁয়া ও কীটনাশক দিয়ে যে কোনও ধরনের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় বলে দাবি করেন তাঁরা। তারপরেও প্রশ্ন থেকেই যায় বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির দায়বদ্ধতা নিয়ে। সম্প্রতি দেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির দায়বদ্ধতা ও কর্তব্যবোধ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। যদিও এত প্রশ্ন ওঠার পরেও কেন্দ্রের বিমান পরিচালন দফতর থেকে কোনও বিষয়ে কোনও তদন্তের দিকে যাওয়া হয়নি। বেসরকারি সংস্থার ওপর বিমান যাত্রীদের সব দায় ঠেলে দিয়েই হাত ধুয়েছে কেন্দ্র সরকার।