স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে তাঁর বাড়ি যায় ED। স্থানীয় মানুষের রোষের শিকার হন ED-র আধিকারিকরা। এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক জল ঘোলা করতে নেমে পড়েছে। অথচ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের উপর হামলার ঘটনায় ৫ জানুয়ারি পরপর তিনটি FIR করেছে রাজ্য পুলিশই। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
প্রথম FIR: শাহজাহান শেখের সমর্থকরা কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা করেছে এই অভিযোগ করেছিল ইডি। এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে প্রথম FIR দায়ের হয়। ইডি তার অভিযোগে বলে, তাদের তিন আধিকারিক আহত হয়েছেন। এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় তাঁদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও মানিব্যাগ চুরি হয়ে যায়।
দ্বিতীয় FIR: এটি স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। সেখানে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে ইডি আধিকারিকরা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এও অভিযোগ করা হয় যে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট না দেখিয়ে, আইন ভেঙে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতার বাড়িতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন।
তৃতীয় FIR: বিডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর করে পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থা বেঞ্চ ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত স্থগিত করেছে। SIT নিয়ে পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ আর FIR-এর পরবর্তী শুনানি ৩১ মার্চ।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যে বিন্দুমাত্র কাউকে রেয়াত করবে না সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নিয়েছে। তা হলে শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার কী আছে?” কিন্তু শাহজাহানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আদালতের নির্দেশ। তার কথাই প্রমাণ করল পুলিশের করা তিনটি FIR-এর তথ্য।
আরও পড়ুন- বড় সিদ্ধান্ত, এবার আর্থিকভাবে দুর্বল অংশের মানুষদের জমি-বাড়ি দেবে রাজ্য