বিজেপি বিরোধী জোটের ভরসা তৃণমূলই, এবার উদ্যোগী লালু-অখিলেশ

0
3

রাজ্যের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় INDIA জোটের সব সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলকে এই জোটে বেঁধে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। একদিকে রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি যখন বলছেন প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল, তখন হাইকম্যান্ড বারবার আশ্বাস দিচ্ছেন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকই আছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে জোট নিয়ে ইতিবাচক উত্তর খুঁজতে আসরে নামলেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ ও সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটে রাখার জন্য ফোন করলেন দুজনেই।

রাজ্যে ৪২ আসনে একা লড়ার কথা যেদিন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন কংগ্রেস বা INDIA জোটের সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষে চলা সম্ভব না। তাঁর দাবি ছিল এই জোটে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সিপিআইএম-এর কথা শুনেই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অন্যান্য শরিকদের কথার গুরুত্ব থাকছে না। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয় একযোগে সিপিআইএম ও কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধিতার কথা। রবিবারও একইভাবে তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন কীভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি তৃণমূলকেই প্রধান বিরোধী হিসাবে ঘোষণা করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে দুদিন আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ওব্রায়েন বাংলা তো বটেই, মেঘালয় ও আসামেও একা চলার ঘোষণা করেন। আবার গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী হিসাবে গত এক সপ্তাহে অখিলেশ যাদব ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেছে কংগ্রেস। আগেই বিহারে আরজেডি-র সঙ্গে জোট হয়ে গিয়েছিল বিজেপি বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে এমন দুজনকে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে INDIA জোটের পক্ষ থেকে যাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো বলেই রাজনৈতিক মহলে খবর। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক পাটনায় INDIA জোটের বৈঠকের সময়ও দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে জোটে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথ খোলা রেখেছেন অখিলেশও।

লোকসভা ভোটে বাংলায় একটিও আসন নিশ্চিৎ করতে তৃণমূল যে বিজেপির সামনে কত বড় বাধা তা এক সপ্তাহে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার ঘটনাই প্রমাণ করছে। অর্থাৎ বিজেপি মূল প্রতিপক্ষ হিসাবে তৃণমূলকেই মনে করছে। তবে আদৌ তৃণমূল সংবেদনশীল দুই রাজনীতিকের ডাকে INDIA জোটে থাকতে সাড়া দেবে কী না, সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর হাইকম্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও সিপিআইএম-এর সঙ্গে সম্পর্কের ওপর।