বিজেপির সবথেকে বড় ‘মিত্র’ তথা দলের তহবিলে সবথেকে বেশি চাঁদা দেওয়া আদানি গোষ্ঠীকে কয়লার ব্লক পাইয়ে দেওয়া নিয়ে এবার সুর চড়ালো কংগ্রেস। হাতিয়ার CAG রিপোর্ট। কীভাবে বেআইনিভাবে নিলাম করে আদানি গোষ্ঠীকে কয়লা ব্লক পাইয়ে দেওয়া হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে এবং দেশের রাজস্বে কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই রফাতে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিজেপি লোকসভা ভোটের আগে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে তাতে কংগ্রেস আমলের কয়লা দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তার পাল্টা বারবার CAG রিপোর্টে বিজেপি সরকারের কয়লা ব্লক বন্টনে দুর্নীতি ও বিজেপিরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আশঙ্কা প্রকাশের কথা তুলে ধরলেন দলের মুখপাত্র পবন খেরা।
CAG রিপোর্টকে সামনে রেখে কংগ্রেসের দাবি, ২০১৪ সালে নতুন আইন এনে দেশের কয়লা ব্লক ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে যখন নিলাম করার প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজকুমার সিং। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিকে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন এর ফলে এক্ষেত্রে একাধিপত্ব ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে বলে। পাশাপাশি রাজস্বের ক্ষতির দিকটিও তুলে ধরেন তিনি। একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব এবিষয়ে প্রশ্ন তোলা এমনকি আদালতে মামলা চলা সত্ত্বেও এই আইন প্রয়োগ করে আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার প্রশ্ন তোলা হয় কয়লা ব্লকের নিলামের ক্ষেত্রে। ২০২১ সালে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয় অন্তত তিন অংশগ্রহণকারী থাকতে হবে। কমিটির সেই রিপোর্ট অগ্রাহ্য করে আদানি গোষ্ঠীর দুটি সংস্থাকে নিয়ে কয়লা ব্লক নিলাম হয় বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। সেখানেই দেশের রাজস্ব বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য তুলে ধরা হয় কংগ্রেসের তরফে।
সেই সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির কোষাধ্যক্ষ ও দেশের কয়লামন্ত্রীর পদে একই ব্যক্তি কীভাবে ছিলেন। সেই সময়ই দেখা যাচ্ছে বিজেপির ‘পরম মিত্র’ হয়ে উঠছেন আদানি। পাশাপাশি বিজেপির তহবিলে সবথেকে বড় চাঁদাদাতা হিসাবেও উঠে আসছে তাঁরই নাম। এখানেই কংগ্রেসের দাবি, এভাবেই দেশের স্বার্থ লঙ্ঘন করে চাঁদার বদলে কয়লা ব্লক তুলে দেওয়ার দুর্নীতি করেছে মোদি সরকার।