সময় যত গড়াচ্ছে মোদি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন (Farmers Protest) আরও তীব্রতর হচ্ছে। শনিবারই পাঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানা (Hariyana) সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের (Farmers) উপর চড়াও হয় ডবল ইঞ্জিন (Double Engine) হরিয়ানা সরকারের বিজেপি পুলিশ (Police)। আর তারপর থেকেই আরও অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে মোদি সরকারের চরম সমালোচনায় সরব সঙ্ঘ পরিবারের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ (Bharatiya Kisan Sangh)। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে কৃষকরা যখন দিল্লি গিয়ে তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা মোদি সরকারের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন সেই ভাবনাকে কেন গুরুত্ব সহকারে বিচার করছে না সরকার? কেন তাঁদের উপর লাগাতার অত্যাচার করা হচ্ছে? কেনই বা তাঁদের পথ আটকে তাঁদের উপরই আক্রমণ শানাচ্ছে একাধিক ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের পুলিশ? আর সঙ্ঘ পরিবারের এমন অভিযোগ সামনে আসতেই চাপ বাড়ছে মোদি সরকারের উপর। পাশাপাশি কিষান সঙ্ঘের তরফে আরও অভিযোগ জানানো হয়েছে সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের এমন পদক্ষেপের জেরে কৃষকদের আন্দোলনে হিংসা আরও চরমে পৌঁছতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে সঙ্ঘ পরিবারের কৃষক সংগঠনটি।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে যোগ দিতে আসা কয়েক জন কৃষককে মারধরের পর হরিয়ানার পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্ঘ পরিবারের কৃষক সংগঠনের তরফে এই সমালোচনা লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে রবিবারই রাজস্থানের আজমেরে ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। আর সেই বৈঠকের পরই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন তাঁরা। সঙ্ঘের কিষান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহিনী মোহন মিশ্র বলেন, ‘‘সরকার যে মনোভাব দেখাচ্ছে, তা নিন্দার যোগ্য। এর ফলে হিংসা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ তবে বর্তমানে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমানায় বসে আছেন কৃষকরা। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের ‘দিল্লি চলো যাত্রা’ স্থগিত রেখে আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯ তারিখ একটি সভায় দিল্লি অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রবিবারই শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় জড়ো হওয়া কৃষকরা মোমবাতি মিছিল করেন। পাশাপাশি আন্দালনরত কৃষকদের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। আহত কৃষকদের নিজেদের বাড়িতে ফেরাতে হরিয়ানা সরকারকে চিঠিও লিখেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যসচিব।