প্রথমে ঠিক ছিল ৬ মার্চ বাংলায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সেই দিন বদলে ঠিক হল ৮ মার্চ বারাসতে তার সভা হবে। এখন জানা যাচ্ছে, ১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার সভার দিন বদল হচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক ভড়ানো নিয়ে নিজেরাই সন্দীহান বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বারাবার এই দিন বদল। আসলে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার যতই মুখে হম্বিতম্বি করুন না কেন, দুজনের কারোরই এক ডাকে লোক জড়ো করার ক্ষমতা নেই। তাই তারা ড্যামেজ কন্ট্রোলে এমন দিনে মোদির সভা রেখেছেন, যাতে কোনও প্রশ্ন উঠলে একটা অন্তত অজুহাত খাড়া করতে পারেন।
যেমন, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ওই দিন বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে দিন মহাশিবরাত্রি। তাই বিজেপি নেতৃত্ব সভার নাম দিয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সঙ্গে সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের জুড়তে চায় বঙ্গ বিজেপি। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা এবং লোকসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়েছেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে নিজের কথা বলবেন। যদিও রাজ্য নেতৃত্বকে আপাতত সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ,প্রধানমন্ত্রী বারাসতের সভা থেকে সন্দেশখালি নিয়ে সরব হবেন বলে জানা যাচ্ছে।তবে দিন বদল করেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় কতটা জনসমাগম করতে সশ্ক্ষম হবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এর আগে গীতা পাঠের নামে ব্রিগেডে মোদির সভায় ফাঁকা মাঠ দেকেছে বাংলা। তাই এবারও তার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।