দেশের বিভিন্ন বড় শহরে মাদক সরবরাহ করার বিরাট চক্রের হদিশ পেল পুনে পুলিশ। পুনে ও দিল্লিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল প্রায় ২৫০০ হাজার কোটি টাকার মিয়াও মিয়াও। দিল্লি শহরে আরও বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আরও মাদক উদ্ধারে আশাবাদী তদন্তকারীরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এখনও পর্যন্ত দেশে এতবড় মাদকচক্রের সন্ধান আগে কখনও পুলিশ বা গোয়েন্দারা পাননি যেখান থেকে ২৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান এই পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। পুনে ও দিল্লি পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আপাতত এই চক্র ও তাদের ডেরার সন্ধান ও মাদক উদ্ধার জারি রয়েছে।

মাদক উদ্ধারের শুরু হয় দুই ডেলিভারি বয়-কে পুনে পুলিশ গ্রেফতার করার পর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মেফেড্রন (এমডি) নামের মাদক, যার পোশাকি নাম মিয়াও মিয়াও। ধৃতদের সূত্র ধরে পুনে পুলিশ পৌঁছায় পুনের কুরকুম্ভ এমআইডিসি এলাকার একটি নুনের গুদামে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৭০০ কেজি মেফেড্রন। ফের সেই ডেলিভারির বয়দের সূত্র ধরে গ্রেফতার হয় আরও তিনজন পাচারকারী। তাদের মধ্যে একজন পুনের গুদামের মালিক। নুনের আড়ালে সুবিধাজনকভাবে কিভাবে মাদকের চক্র চলছিল, জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সূত্র খুঁজছে পুলিশ।
এরপরই খোঁজ পাওয়া যায় দিল্লিতে একাধিক মাদক আড়তের। দিল্লির হজ খাস এলাকার একটি গুদামের মতো জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ৪০০ কেজি মেফেড্রন। এখনও পর্যন্ত দিল্লি থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি। পুনে ও দিল্লি পুলিশ এখনও এই নিয়ে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।






































































































































