সন্তান খুনে অভিযুক্ত মায়ের হয়ে সওয়ালে ‘না’ আইনজীবীদের, ফাঁসির দাবি বাবার

0
4

সন্তানকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত খোদ মা! এত নৃশংসতা যা নাড়িয়ে দিয়েছিল তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদেরও। গ্রেফতার হওয়ার পর সেই মায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী। কোন্নগরের শিশু খুনে নয়দিনের পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্ত মা ও তার বান্ধবী।

বিয়ের আগে থেকে এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন খুন হওয়া শিশু শ্রেয়াংশুর মা শান্তা শর্মা। বান্ধবী ইফফাত পারভীনের সঙ্গে বিয়ের পরেও যোগাযোগ ছিল শান্তার। দুজনের ‘বন্ধুত্বের’ সম্পর্কের জন্যই আট বছরের শ্রেয়াংশুকে খুন হতে হয়েছে কী না, তার তদন্তে পুলিশ। দুই বান্ধবীর সম্পর্কের টানাপোড়েনের পাশাপাশি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের পর কথায় অসঙ্গতি, সিসিটিভি ফুটেজ, ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় শান্তা ও পারভীনকে। বুধবার তাঁদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে কোনও আইনজীবী তাঁদের পক্ষে সওয়াল করেননি। সরকারি আইনজীবী জানান, হয়তো কোনও মানবিক কারণে আইনজীবীরা তাঁদের হয়ে সওয়াল করেননি। তবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তাঁরা আইনজীবী পাবেন। কারণ, সংবিধান অনুসারে বিচার পাওয়ার অধিকার সকলেরই আছে। পুলিশের আবেদন শুনে নয়দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত। শ্রেয়াংশুর খুনের ঘটনায় প্রাথমিক সূত্র থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও আসল কারণ ও খুনি ধরতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে দাবি উত্তরপাড়া পুলিশের।

বুধবার আদালতে বিচারকের প্রশ্নে শ্রেয়াংশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা দাবি করেন, প্রকৃত খুনির ফাঁসি হোক। খুনি তাঁর স্ত্রী হলেও তিনি ফাঁসির দাবিই করেন। তিনি জানান, এই ধরনের অপরাধী যাবজ্জীবনের সাজা পেলে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধ করবে। যদিও আদালতে যাওয়ার পথে শান্তা শর্মা দাবি করেন ‘আমি খুন করিনি। নিজের ছেলেকে কেউ খুন করতে পারে না।’ তবে তাঁর বান্ধবী পারভীন এই খুন করেছেন কি না, সেই প্রশ্নেও সচেতনভাবে উত্তর দেন শান্তা। তাঁর দাবি তিনি জানেন না খুনে পারভীন যুক্ত কি না।