উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে (Shubhendu Adhikari) সেখানে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়। সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গেল রাজ্য (Government of West Bengal)।
সোমবারের আদালতের রায় ঘোষণার পর আজ সকালেই দলবল নিয়ে সন্দেশখালিতে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টায় কলকাতা থেকে রওনা দেন শুভেন্দু সহ ৬ বিজেপি নেতা। কিন্তু অশান্তি এড়াতে সেখানে নতুন করে ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় ধামাখালিতে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে আজ সন্দেশখালিতে গেছেন বৃন্দা কারাট। ১৪৪ ধারার মধ্যে তিনি প্রবেশের চেষ্টা করায় তাঁকেও বাধা দেয় পুলিশ। তিনিও বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শান্ত সন্দেশখালিতে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী। একদিকে যখন স্বাভাবিক হচ্ছে সন্দেশখালি এবং সেখানে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে তখন শুভেন্দু-বৃন্দারা যেভাবে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন তাতে এবার আদালতের হস্তক্ষেপ চাইছে রাজ্য সরকার। ১৪৪ ধারার উপর সিঙ্গেল বেঞ্চ যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে তার বিরোধিতার পাশাপাশি কেন শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো তা নিয়েও এবার প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করল সরকার। সুকান্ত অধিকারী খবরের শিরোনামে আসার পর থেকেই বারবার করে বিজেপির কাছে নম্বর পাওয়ার চেষ্টায় বিরোধী দলনেতা সন্দেশখালি যেতে চাইছেন। কিন্তু এই প্ররোচনা মূলক আচরণ একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না সন্দেশখালির বাসিন্দারা। আজ ফের ধামাখালির রাস্তায় বসে ‘নাটক’ শুরু শুভেন্দুর। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ থেকে শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য আর কোনও বিজেপি নেতা বা দলবদল সেখানে যেতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত রুট ম্যাপ মেনে সেখানে যেতে পারবেন বিরোধী নেতা। তবে কোন রকমের উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।