এ কী কাণ্ড! রাতের বেলা নদিয়ার হাঁসখালির (Hanskhali , Nadia) মিলননগর বাজার এলাকায় আচমকাই গুলির শব্দে চাঞ্চল্য। পাঁচ দুষ্কৃতী শূন্যে গুলি চালিয়েছেন জানার পরই তাঁদের ধাওয়া করে অস্ত্রসহ পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করলো হাঁসখালি থানার পুলিশ (Hanskhali Police)। কিন্তু আসল ঘটনা এরপরে। ধৃতদের পরিচয় জানতে গিয়ে হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। দু’জন আইনজীবী, একজন আইনের ছাত্র আর বাকি দু’জন পরিচিত সমাজবিরোধী। কিন্তু সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এমন কাণ্ড ঘটানোর কারণ কী?

তদন্তি নেমে পুলিশ জানতে পারে যে হাঁসখালির বাসিন্দা আশিস নামে এক ব্যক্তি মাদক মামলায় গ্রেফতার হন। অভিযুক্ত স্বামীকে ছাড়াতে প্রসেনজিৎ নামের এক আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিলেন আশিসের স্ত্রী। মামলার প্রয়োজনে একে অন্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলা থেকে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আশিস জামিন পাওয়ার পর স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে খুন করে বসেন সহধর্মিনীকে। ফের জেলে যান তিনি। সেই মামলা থেকেই আবার সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আশিস। প্রসেনজিৎ অনুমান করেন যে এবার তিনি টার্গেট হতে চলেছেন। তাই আগেভাগে আশিসকে খুনের ছক সাজান আইনজীবী। সে জন্য নিজের সহকর্মীদের পাশাপাশি ভাড়া করেন দুই সমাজবিরোধীকে। কিন্তু খুনের ইচ্ছে পূরণ হয়নি। গতকাল রাতেই হাঁসখালি থানার পুলিশের জালে ধরা পড়েন আইনজীবী-সহ পাঁচ জন। এত কীর্তি জানতে পেরে করা ডায়েরি তৈরি করতে রীতিমতো চোখ কপালে উঠছে পুলিশের।







































































































































