নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন হল না পাকিস্তানে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল জোট বেঁধে সরকার গঠন করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। কিন্তু, জেলে বসেই ইমরান খানও পাল্টা চাল দিয়েছেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-র সঙ্গে জোট গঠন করবে না পাকিস্তান পিপলস পার্টি, না কি ইমরান খানের দলের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে জোট গঠন করবে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল।
গত ৯ ফেব্রুয়ারিই নওয়াজ শরিফ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর ছোট ভাই, শাহবাজ শরিফ পিপিপি-র বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করেছেন। সরকার গঠন করা হবে, প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরিফ। মারিয়ান হবেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই গল্পে নতুন মোড়।জানা গিয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ-পিটিআই এর জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদ কায়সার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেন। বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইমরান খানের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ওমর আইয়ুব খানের নাম ঘোষণা করেন তিনি। ওমর আইয়ুব খান বর্তমানে পিটিআই’র সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, পিপিপির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। পিপিপি-ও অন্যদিকে পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।আন্তর্জাতিক স্তর থেকেও চাপ আসায়, পিটিআই-কে বিরোধী বেঞ্চে বসাতে চাইছে না পাক সেনা। যেহেতু পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরাই অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছে, তাই তারা বিক্ষোভ-প্রতিবাদে নামছে। এই প্রতিবাদ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। সেই কারণেই নওয়াজ শরিফের হাত ছেড়ে ইমরানের হাত ধরতে আগ্রহী বিলাওয়াল ভুট্টোর দল।গত বছরের মে মাসে ইমরান খানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছিল পকিস্তানে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় আইয়ুবের বিরুদ্ধে। ফলে একরকম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।