মহিলাদের উন্নয়নে নজর দেওয়ার যে পাঠ রাজ্যের তৃণমূল সরকার ২০২১ সালে দিয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে তার খানিকটা প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। মহিলা ও শিশুদের জন্য আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দের কথা জানানো হয় ২০২৪ সালের কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেটে। রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণ করতে পিছপা হয়নি দক্ষিণের কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কর্ণাটকও। এমনকি ২০২৪ সালে যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সেভাবেই লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

সম্প্রতি লোকসভার সেমিফাইনাল হিসাবে গণ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ক্ষমতা ফের কায়েম করেছে বিজেপি। রাজনীতিবিদদের মতে মহিলাদের জন্য তৈরি ‘লাডলি বেহেনা যোজনা’য় প্রতি মহিলার জন্য বরাদ্দ ১ হাজার টাকা থেকে একলাফে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া ম্যাজিককে দায়ী করেছেন। ভোটের পরিসংখ্যানও বলছে মধ্যপ্রদেশে মহিলা ভোট বিপুলভাবে বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। শিবরাজ সিং চৌহানের বাংলা থেকে ধার করা এই ফর্মুলাই অক্সিজেন দিয়েছে বিজেপিকে।

বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজ্যের মানুষের দাবি শুনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে এবছর সাধারণ ও তপশিলি মহিলাদের বরাদ্দের ফারাক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। নতুন করে আরও মহিলাদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেই কারণে মহিলাদের জন্য রাজ্যের বরাদ্দ বিরাট পরিমাণ বাড়াতেও হয়েছে।
এবার সেই পথেই লোকসভার বৈতরণী পার করতে চাইছে কংগ্রেস পরিচালিত কর্ণাটক। শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেন ইতিমধ্যেই ১.৩৩ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত নতুন করে ১.১৭ কোটি মহিলা আরও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এতদিন যে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১১,৭২৬ কোটি টাকা, এই অর্থবর্ষে সেই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হল ২৮,৬০৮ কোটি টাকা।


 
 
 
 


































































































































