“ফ্রিজ করা যাবে না অ্যাকাউন্ট”, আপিল ট্রাইবুনালের রায়ে স্বস্তিতে কংগ্রেস

0
1

আয়কর দফতরের পদক্ষেপে লোকসভা ভোটের আগে কার্যত দেউলিয়া হতে বসেছিল শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। যদিও সেই পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পেল আয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়। শুক্রবার দিল্লি আপিল ট্রাইবুনাল বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আয়কর দফতর কংগ্রেসের কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই চালানো যাবে লেনদেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের নেতা বিবেক তঙ্খা।

এদিন সকালে কংগ্রেসের কোষাধ্যাক্ষ অজয় মাকেন অভিযোগ করেন, ক্রাউডফান্ডিং করে দলের অ্যাকাউন্টে যে অর্থ জমা পড়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কোনও কারণ ছাড়াই যুব কংগ্রেসের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সমস্ত আর্থিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালই এই বিষয়টি জানা গিয়েছে। বাদ যায়নি যুব কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টও। আয়কর দফতর আরও জানিয়েছে ২০১৯ সাল থেকে বিপুল কর বকেয়া রয়েছে। কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস মিলিয়ে তার পরিমাণ ২১০ কোটি টাকা। এই অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পর রাজ্যসভা সাংসদ বিবেক জানান, ট্রাইবুনালের দিল্লি বেঞ্চ জানিয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেনে বাধা নেই। তিনি বলেন, “আমি ট্রাইবুনালকে বলেছিলাম, এমন হলে আমরা লোকসভা ভোটে অংশ নিতে পারব না। ট্রাইবুনাল জানিয়েছে, একটি ‘লিয়েন’ থাকলেও অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহারে কোনও বাধা নেই।”

তবে এই ঘটনায় লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির সরকার ইডি, আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন বিবেক। পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অজয় মানেক অভিযোগ করেন, “আমাদের কাছে কোন সাংসদ ও বিধায়ক কত টাকা দিয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তা-ও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হল। দেশে এখন গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নেই। কার্যত একদলীয় স্বৈরাচার চলছে। প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা বিচার বিভাগ, সংবাদমাধ্যম এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইব।”