মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার আট জন প্রাক্তন আধিকারিককে মুক্ত করার পর বৃহস্পতিবার কাতার সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠকও করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির কাতার সফর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, অর্থ এবং প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরে কাতারের জেলে বন্দি ছিলেন ভারতীয় নৌসেনার আট জন প্রাক্তন আধিকারিক। কাতার আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদির কাতার সফরের আগেই সেখানকার প্রশাসন গত ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি দেওয়া হয় ওই ৮ জনকে। বিরাট এই কূটনৈতিক সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ।
এপ্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি মোদি-থানির বৈঠকে পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দোহার আমিরি দিওয়ানে মোদির সম্মানে বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করেছিলেন থানি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেবার কাতারের সঙ্গে ৭টি চুক্তি সাক্ষরিত হয় ভারতের। এরপর দ্বিতীয়বার কাতার সফরে গেলেন মোদি।