সন্দেশখালি নিয়ে অতিসক্রিয় ভূমিকায় দেখা দেখা যাচ্ছে রাজ্যপালকে। কেরালার কর্মসূচি কাটছাট করে সন্দেশখালিতে ছুটে গিয়েছেন আনন্দ বোস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নিজের মনগড়া রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। কিন্তু চোপড়া কাণ্ডে অদ্ভুতভাবে নিশ্চুপ রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সন্দেশখালি গেলে, চোপড়া কেন যাবেন না? এই দাবি নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার রাজভবনে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিধানসভার নর্থ গেট থেকে পেয়ে হেঁটে রাজভবনে যান তৃণমূলের ১২ জন প্রতিনিধি দলের মধ্যে ৯ জন নেটা-নেত্রী। ফিরহাদ হাকিম অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি, তাই যেতে পারেননি। দোলা সেন শিলিগুড়িতে স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে ব্যস্ত এবং শশী পাঁজা বিধানসভার অধিবেশনে রয়েছেন বলে যোগ দিতে পারেননি।
এদিন প্রতিনিধি দলে আছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, উদয়ন গুহ, ব্রাত্য বসু, বীরবাহ হাঁসদা, গৌতম দেব, প্রতিমা মন্ডল, জগদীশ চন্দ্র বর্মা, কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । রাজ্যপাল আনন্দ বোস তৃণমূল কংগ্রেসকে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন। আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাজভবনে যাবে।
মূলত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে তাদের এই রাজভবনযাত্রা । উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার চেতনগাছিতে মৃত চার শিশুর পরিবারের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । তবে শুধু সরকার নয়, সন্তান হারানো পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবার আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে সন্তানহারা পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একইসঙ্গে তিনি উত্তর দিনাজপুরের জেলা নেতৃত্বকে মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই সন্তানহারা পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই মৃত শিশুদের পরিবার পিছু তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে শাসকদলের তরফ থেকে।