বদলে গেল মৃতদেহ! দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চূড়ান্ত গাফিলতি, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

0
3

এবার বেসরকারি হাসপাতালের (Private Hospital) বিরুদ্ধে একেবারে মৃতদেহ বদলে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ! ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুর্গাপুর (Durgapur)। অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা ৭১ বছরের প্রৌঢ় নৃপেন্দ্রনাথ শ্যাম ভর্তি হয়েছিলেন দুর্গাপুরের বিধাননগর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আর তার ঠিক দু’দিন আগে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার দেশবন্ধু নগরের কনক মজুমদারকেও ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় দুজনেরই। বৃহস্পতিবার সকালে বেনাচিতির মৃত নৃপেন্দ্রনাথ শ্যামের দেহ নিয়ে যায় পরিবার-পরিজনের। পাড়ার ক্লাবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। তখনই মৃতদেহের মুখ ভালো করে দেখতেই চোখ কপালে ওঠে পরিবার-পরিজনের ও এলাকাবাসীর। দেখতে পান নৃপেন্দ্রনাথের দেহের বদলে এক মহিলার মৃতদেহ রয়েছে। স্বর্গরথে করেই হাসপাতালে সেই মৃতদেহ নিয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অন্যদিকে মৃতা প্রৌঢ়া কনক মজুমদারের পরিবারের লোকজনও সেই কথা জানতে পেরে হাসপাতালের সামনেই চরম বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কনক মজুমদারের ভাইঝি রানু পান অভিযোগ করেন, “তাঁর পিসি বুধবার রাতে এই হাসপাতালে মারা যান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেহ নেওয়ার জন্য তাঁরা হাসপাতালে এলে জানতে পারেন পিসির দেহ বদলে গিয়েছে। এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহের জায়গায় তাঁর পিসির মৃতদেহ চলে গিয়েছে। হাসপাতালে চূড়ান্ত গাফিলতি ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি বিষয়টির প্রতিবাদ জানানোয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুরো অভিযোগ স্বীকার করে বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার পঙ্কজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃতদেহ সনাক্ত করতে ভুল হয়েছিল। মর্গের দায়িত্ব থাকা কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও নজরদারি বাড়াবেন বলেও জানান তিনি।”

অন্যদিকে নৃপেন্দ্রনাথ শ্যামের পরিবারের অভিযোগ, এদিন মৃতদেহ নিয়ে আসার পরই বিষয়টি নজরে আসে। এরপর হাসপাতালে গেলে তাঁরা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে চাপের মুখে পড়ে আসল সত্য জানাতে বাধ্য হন তাঁরা। তবে এই ঘটনা আর যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার প্রতিবাদেই এদিনের বিক্ষোভ। যদিও পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।