ভোটের ময়দানে লড়াই করতে ব্যর্থ তাই অশান্তি পাকিয়ে শিরোনামে থাকার চেষ্টা রাজ্যের বিরোধী দলের। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ব্যালটে প্রভাব ফেলতে মরিয়া। অথচ প্রশাসনের দক্ষতায় এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো ইতিমধ্যেই দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে ছন্দে ফিরেছে সন্দেশখালি, খুলেছে দোকানপাট ফিরেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সেখানকার মানুষ যখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে চাইছেন, তখন বারবার শুভেন্দু-সুকান্তরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) অশান্তি পাকিয়েছেন এবং আজ সকালেও সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধিয়েছেন। এবার মোদি-শাহদের খাতায় নম্বর তুলতে আসরে নেমে পড়লেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। আজ বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিনি। অশান্তি এড়াতে বসিরহাটের এসপি অফিস সংলগ্ন ৫০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন।

কখনও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাওয়া আবার কখনও কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া, রাজনীতির ময়দানে লড়াই করতে না পেয়ে ঘোলা জলে রাজনীতির সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। আজ সন্দেশখালি গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করার অভিসন্ধি করেছিলেন শুভেন্দুরা। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার আগেই সায়েন্স সিটির কাছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আটকে দেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় সেখানেই ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর (Joy Sengupta) বেঞ্চে মামলা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঠিক যখন শুভেন্দু অধিকারী লাইমলাইটে চলে এলেন, তখনই আবার বিজেপির আরেক নেতা তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ক্যামেরার সামনে শেখ শাহজাহানকে এনকাউন্টারের নিদান দিলেন। অর্থাৎ যেভাবেই হোক খবরের ভেসে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী শিবিরের দুই নেতা। আজ বসিরহাটে অভিযানে যাওয়ার কথা বামেদেরও। অন্যদিকে রামপুরের কাছে কংগ্রেসকেও আটকে দেয় পুলিশ। কোনভাবেই যাতে অশান্তি না ছড়ানো হয় তা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন বসিরহাটের সাংসদও। সজাগ দৃষ্টি প্রশাসনের।







































































































































