বছরের যে কটি পুজো বাঙালির ঘরে ঘরে হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি অবশ্যই সরস্বতী পুজো। বিশেষত পড়ুয়া জীবনে সরস্বতী পুজোর মাহাত্ম্যই আলাদা। স্কুল, কলেজে তাই মঙ্গলবার থেকেই সাজ সাজ রব। এবার পঞ্জিকা মতে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ২ দিনই সরস্বতী পুজো করা যাবে। শুধু সময়টা দেখে নিয়ে হবে। তিথি থাকতে থাকতে পুজো সারলেই হল। ফলে মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সরস্বতী ঠাকুর কেনা, প্যান্ডেল সাজানোর তোরজোড় তুঙ্গে।
শাকসবজি থেকে ফলমূল সবেরই আকাশ ছোঁয়া দাম। তায় আবার পুজো। ফলে দাম আরও চড়েছে।এবার ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। ১০০ গ্রাম কুল কিনতে গিয়ে ২০-২৫ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে দুটি মুসম্বির দাম ২০ – ৩০ টাকা।
অন্যদিকে সবজির বাজারে আগুন। জেলার বাজারগুলিতে প্রমাণ সাইজের একটি ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। বাঁধাকপির পিস আগের বছরও ছিল ১০ -১৫ টাকা করে। এবার তা কিনতে গিয়ে খরচ হচ্ছে ২০-৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আদা রসুনের মত রান্না উপকরণের দামও আকাশ ছোঁয়া। আদার কিলো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে রসুনের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। অন্যান্য মশলাপাতির দামও বাড়ছে। তাই সরস্বতী পুজোর বাজার করতে গিয়ে অনেক ক্রেতাই ঘেমেনেয়ে একসা হচ্ছে। আক্ষেপ বাড়ছে বিক্রেতাদেরও।
শিম ৪০ টাকা কেজি, মটরশুঁটি ৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কিলো, কাঁকরোল ৪০ টাকা কিলো, বরবটি ৩০ টাকা কিলো, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা প্রতি কিলো, গাজর প্রতি কিলো ৪০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কিলো ৭০-৮০ টাকা , আদা প্রতি কিলো ২০০-২৫০ টাকা।
জ্যোতি আলু ২০-২২ টাকা প্রতি কিলো , চন্দ্রমুখী আলু ২৬-২৮ টাকা কিলো , পেঁপে ১৮-২০ টাকা কিলো, লাউ প্রতি কিলো ৩০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কিলো ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কিলো ৬০ টাকা, কুমড়ো প্রতি কিলো ২০-৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স প্রতি কিলো ৬০ টাকা, পটল প্রতি কিলো ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা কিলো।
ইলিশ (৫০০-৭০০গ্রাম) ৮০০-৯০০টাকা কেজি।(১-১২০০গ্রাম)-১৫০০-১৬০০টাকা কেজি ।
গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০-৬৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০-৭০০ টাকা।
কাতলা মাছ (কাটা) প্রতি কেজি ৩৫০-৪৫০ টাকা, ভোলা মাছ প্রতি কেজি ১২০-১৮০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি, মৌরোলা ৩৫০-৪০০ টাকা, পার্শে ৩৫০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫৫০ টাকা।
মুরগির মাংস (গোটা) প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, মুরগির মাংস (কাটা) প্রতি কেজি ২০০-২৩০ টাকা, পাঁঠা / খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০-৮৫০ টাকা।