আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

0
3

১৯২০

প্রাণ (১৯২০-২০১৩) অবিভক্ত ভারতের লাহোরের লক্ষ্মীচকে এদিন জন্ম নেন। পুরো নাম প্রাণ কৃষাণ সিকান্দ। হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা। নায়ক হওয়ার সবরকম বৈশিষ্ট্য ছিল পূর্ণমাত্রায়। কিন্তু তিনি পর্দায় খলনায়ক হয়েই থাকলেন। কখনও কখনও চিত্রনাট্যে তাঁর গুরুত্ব টক্কর দিত নায়কের সঙ্গে। তাঁর কথা ভেবে আলাদা করে সংলাপ লেখা হত। কিন্তু তিনি নিজেকে সরিয়ে আনেন শুধুমাত্র নেগেটিভ চরিত্রেই। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, নায়িকার সঙ্গে নাচগান করা তাঁর সঙ্গে মানানসই হচ্ছে না। বিশেষ করে ছবিতে নায়কের নাচের দৃশ্যে তাঁর ঘোরতর আপত্তি ছিল। ফলে বেছে নেন নেগেটিভ চরিত্রই। দিলীপকুমার, দেব আনন্দ এবং রাজ কপুরের মতো অভিনেতা প্রাণকে পছন্দ করতেন তাঁদের ছবিতে খলনায়ক হিসেবে। নানাভাই ভট্ট, বিমল রায়, আই এস জোহার, শক্তি সামন্ত, নাসির হুসেন-সহ প্রাণের সমসাময়িক বড় পরিচালকেরাও ছিলেন তাঁর অভিনয়ের ভক্ত।

১৮৭৮

আলেকজান্ডার ডাফ

(১৮০৬-১৮৭৮) এদিন প্রয়াত হন। জন্মসূত্রে স্কটিশ। শিক্ষিত, ধার্মিক, সেইসঙ্গে মুক্তমনা ডাফ এমন একটা সময় কলকাতায় এসেছিলেন, যখন শহরে সমাজ-সংস্কারের ঢেউ এসেছে। ইংরেজি শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদী ভাবধারা এক ধাক্কায় যেন কুসংস্কারের মূলে আঘাত হানল। কলকাতার সমাজ-সংস্কারে তাঁর গভীর অবদানের চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ডাফ হাই স্কুল ফর গার্লস, স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং অবশ্যই ডাফ স্ট্রিট। ডাফের শিষ্যরা তর্কপ্রিয় যুক্তিবোধসম্পন্ন খ্রিস্টান। তাই, কলকাতার নিন্দুকেরা তাঁদের নাম দিল ডেঁপো। ডাফ সাহেবের শিষ্যদের জন্য আবিষ্কৃত এই শব্দটি যে আপামর বাঙালি কিশোর-তরুণের বিশেষণ হয়ে দাঁড়াবে, তা তখন আর কে জানত!

১৯১৯

সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১৯১৯-২০০৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। “প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা” বা “ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত” প্রভৃতি তাঁর অমর পঙ্‌ক্তি বাংলায় আজ প্রবাদতুল্য। কবি জয় গোস্বামী বলেছেন, ‘‘সুভাষ মুখোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কথাকে নিজের কবিতায় তুলে এনেছিলেন। সাধারণ মানুষের ভাষাই তাঁর হাতে হয়ে উঠেছিল কবিতা। শুধু কবিতাই নয়। অসাধারণ গদ্য লিখেছেন, অনুবাদ করেছেন।’’

১৯০০

মধু বসু (১৯০০-১৯৬৯) এদিন জন্ম নেন। চিত্রপরিচালক, অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব। আসল নাম সুকুমার বসু। বিলেতে গিয়ে ক্যামেরার কাজ শেখেন ও অ্যালফ্রেড হিচককের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেন। দেশে ফিরে পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয়তা পান ‘আলিবাবা’ ছবির পর। ছবিটিতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সাধনা বসু দুটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ৩০টি ছবি পরিচালনা করেছেন।

১৮২৪

দয়ানন্দ সরস্বতী (১৮২৪-১৮৮৩) এদিন পশ্চিম ভারতের কাথিয়াওয়াড়ের মোরভি শহরে এক ধনাঢ্য নিষ্ঠাবান সামবেদী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা। আর্যসমাজের অন্যতম কর্মসূচি ছিল শুদ্ধি আন্দোলন। শুদ্ধির প্রধান লক্ষ্য ছিল অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হিন্দুদের পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনা এবং বিধর্মী প্রভাব রোধ করা।

১৮০৯

চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। উনিশ শতকের একজন ইংরেজ জীববিজ্ঞানী। তিনি প্রথম প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিবর্তনবাদের ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম অনুধাবন করেন যে সকল প্রকার প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং তাঁর এ-পর্যবেক্ষণটি সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। বিবর্তনের এই নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে চার্লস ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচন রূপে অভিহিত করেন।

১৮৭১

দীনবন্ধু চার্লস ফ্রিয়ার এন্ড্রুজ (১৮৭১-১৯৪০) এদিন ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একনিষ্ঠ সেবক, বিশ্বভারতীর আদর্শ প্রচারে রবীন্দ্রনাথের একান্ত সহকারী, বন্ধু, খ্রিস্টভক্ত মানবপ্রেমিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক। সি এফ অ্যানড্রুজকে দীনবন্ধু নামটা রবীন্দ্রনাথই দিয়েছিলেন।