এবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত

0
1

এবার সন্দেশখালি যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালি থানা এলাকায় আপাতত জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সেই কারণে সন্দেশখালি সংলগ্ন যে এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই, সেই এলাকায় যাচ্ছে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ওই এলাকায় যাবেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে রবিবার ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হতে পারে। ওইদিনই শান্তিসভা করবে তৃণমূল। থাকবেন পার্থ ভৌমিক, রথীন ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, সুকুমার মাহাতো, নির্মল ঘোষ এবং সুজিত বসু।

যদিও সোমবারও ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন শাহজাহান। এই নিয়ে তিনবার হাজিরা দিলেন না তিনি। তার অন্তর্ধান রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। তারই মাঝে শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের গ্রেফতারির দাবিতে অশান্ত সন্দেশখালি। এই আবহে অন্তরালে থাকা শাহজাহানের হয়ে সোমবার আদালতে আইনজীবী তার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হবে না এই শর্তে আগাম জামিনের আবেদন করেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

তিনদিন ধরে দফায় দফায় অশান্তি লেগেই রয়েছে সন্দেশখালি থানার ত্রিমোহিনী থেকে কাহারপাড়া, দাশপাড়া ও পাত্রপাড়ার মতো একাধিক গ্রামে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মহিলাদের বিক্ষোভে থমথমে গোটা এলাকা। অশান্তি সামাল দিতে শুক্রবার গভীর রাত থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।এখনও পর্যন্ত আটজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে সব জেনেও শনি এবং রবিবার বাম এবং বিজেপি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও মাঝপথেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। তাই ১৪৪ ধারার বাইরে থাকা এলাকায় যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।