কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে তৃণমূলের ধরনার এই পর্ব, এদিনই সোমবার শেষ হল। শেষ দিনের ধরবার দায়িত্বে ছিল পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি। এদিনও রেড রোডে উপচে পড়েছিল ভিড়। দুই জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের নেতারাও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে এদিনও গর্জন উঠল রেড রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা মঞ্চ থেকে।


গত ২ ফেব্রুয়ারি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই ধরনা কর্মসূচির ১১ তম দিনে সোমবার আন্দোলনের দায়িত্বে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বরা। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এদিন ধরনা মঞ্চ থেকেই দলের কর্মীদের উদ্দেশে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলায় ৪২-এ ৪২ করার ডাক দিলেন। বিগত দশদিনের মতো এদিনও রেড রোডের ধরনামঞ্চ সংলগ্ন এলাকা উপচে পড়ল দুই বর্ধমানের তৃণমূলকর্মী ও খেটে খাওয়া বঞ্চিত মানুষের ভিড়ে।


মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, প্রদীপ মজুমদার, দুই বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ দুই জেলার বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধি ও অসংখ্য দলীয় কর্মীরা। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ কোটি টাকার বঞ্চনার শিকার হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে সাবলম্বী করতে ৭৪টা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করছে। কারণ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে তফাৎ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বক্ষণ মানুষের জন্য ভাবেন আর বিজেপি সরকার ক্ষমতা ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
আরও পড়ুন- কৃষকদের রুখতে দাঁত-নখ বের মোদি সরকারের, একমাসব্যাপী ১৪৪ ধারা লাগু দিল্লিতে
প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান নেতা উজ্জ্বল প্রামাণিকের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দেওয়ার অপবাদ দেয় ওরা। ওরা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ওরা জানে না যে এটা বাংলা, এখানে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি টেকে না।


 
 
 
 
































































































































