ইমরানকে টেক্কা দিয়ে পাল্টা সরকার গড়ার তোড়জোড়! পাকিস্তানকে বাঁচাতে হাতে হাত শাহবাজ-বিলাওয়ালের

0
1

অধরা রয়ে গেল সরকার গঠনের ভাবনা! জেলবন্দি ইমরান খানকে (Imran Khan) টেক্কা দিয়ে এবার পাকিস্তানে (Pakistan) সরকার গড়তে চলেছে শাহবাজ শরিফ (Sahwaz Sharrif) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর (BIlawal Bhutto) জোট সরকার। রবিবার সরকার গঠনের লক্ষ্যে বৈঠকেও বসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (PPP) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, পিপিপি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করতেই দুই দল জোট বাধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে দুই দলের তরফে। তবে বৈঠক হলেও পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনজনের নাম সামনে উঠে এসেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে নওয়াজ শরিফ, তাঁর ভাই শাহবাজ শরিফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির। পাকিস্তানের নির্বাচনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। ৯৩টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পার করতে পারেনি।অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। অন্যান্যরা ৩৮টি আসন পেয়েছে। পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সরকার গঠন করতে চাইলেও, নওয়াজ ও বিলাওয়ালে দলই জোট গঠন করে সরকার গঠন করতে পারে পাকিস্তানে (Pakistan)।

এদিকে, ক্ষমতা দখলের আশা এখনই ছাড়ছে না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। নির্দল প্রার্থীরা যেহেতু সরকার গঠন করতে পারে না, তাই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগ দিতে বলা হবে সমস্ত নির্দল প্রার্থীদের। যদিও কোন দলের সঙ্গে হাত মেলাবে পিটিআই, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে রবিবার থেকে অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। রবিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পিটিআই কর্মী সমর্থকরা। পরে বিক্ষোভকারীদের উপরই লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। যার জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

নির্বাচনের ফল প্রকাশের দেরি হওয়া কেন্দ্র করে রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর সহ একাধিক জায়গায় পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এদিকে রবিবারের অশান্তির ঘটনায় করাচিতেও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সংঘর্ষে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।