‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ কুণালের

0
1

‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোমবার কাঁথির পেটুয়াঘাটে মৎস্যজীবী সম্মেলনে কুণাল বলেন, পেট্রোল- ডিজেল- রান্নার গ্যাস থেকে জীবনদায়ী ওষুধ সবকিছুর দাম কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুধু বাড়াচ্ছে। সংসারের খরচ শুধু বেড়েই চলেছে। বিজেপি সরকার যেখানে ক্ষমতায় আসছে, কোথাও বলছে মাংস খাওয়া বন্ধ আবার কোথাও বলছে মাছ খাওয়া বন্ধ, কোথাও বলছে ডিম খাওয়া বন্ধ, শুধু নিরামিষ খেতে হবে।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের পাশে মানুষের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প করে চলেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী একের পর এক পঞ্চাশ ষাটটি প্রকল্প। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকছে রাজ্য সরকার। আর এবার সমুদ্রসাথী প্রকল্প। তিনি বলেন, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত মাছ ধরায় বিধিনিষেধ থাকে। তাই মৎস্যজীবীরা কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটানো এই সময়টা নিয়েও ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, রাজ্য সেই টাকা একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু করবে, সরাসরি অ্যাকাউন্টে যাবে। আবাসের টাকা দিচ্ছে না, এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবী পরিবার এই দুই মাসের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা পাবেন। আসলে মানুষের আর্থিক অধিকারটা বাড়িয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিরোধী দলনেতার নাম না করে কুণাল বলেন, অনেকে আসবেন সুবিধা নিয়ে এখন কুৎসা করে বেড়াচ্ছে। আপনি আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দেবেন।
কুণালের স্পষ্ট কথা,মানুষের মধ্যেই ঠাকুর আছে। আর সেই ঠাকুরকে প্রণাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নানান ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। গরিব মানুষ শ্রমজীবী মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপিকে কোনওদিন জীবনে আসতে দেওয়া যাবে না।নিজের অধিকার রক্ষার জন্য এই সরকারের পাশে থাকতে হবে।