রেড রোডে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে বিজেপিকে বোল্ড আউট করার ডাক হাওড়ার নেতৃত্বের

0
1

বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শুরু করা ধর্নায় দশম দিনে দায়িত্বে ছিলেন হাওড়া জেলার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বরা। রবিবার রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে বিজেপিকে বোল্ড আউট করার ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচির উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, বিধায়ক সমীর পাঁজা, ডাঃ নির্মল মাজি, বিদেশ বসু, সুকান্ত পাল, রাজা সেন-সহ হাওড়া জেলা তৃণমূলের অন্য শীর্ষ নেতৃত্বরা। এছাড়াও ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সী-সহ জয়প্রকাশ মজুমদার, বাবুন বন্দোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য, ঋজু দত্ত প্রমুখ। তবে হাওড়া শহর ও গ্রামীণ নেতাদের মধ্যে টানাপোড়েনে সুর কাটে প্রতিবাদ সভার। হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্য সভাপতিকে।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নায় এদিন ছিল হাওড়ার (Howrah) ২টি সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচি। দুটি জেলাকে আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হয়। সকাল থেকে মঞ্চে ছিলেন হাওড়া শহর তৃণমূলের নেতারা। মন্ত্রী অরূপ রায়ের অনুগামীরা ছিলেন। বেলা ৩টে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল হাওড়া গ্রামীণের কর্মসূচি। সেই মতো তৃণমূল নেতা পুলক রায়ের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল ধর্না মঞ্চে পৌঁছয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরেও হাওড়া শহর তৃণমূলের নেতারা মঞ্চ থেকে নামেননি বলে অভিযোগ। এরপরেই হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূলের নেতারা মঞ্চে উঠে পড়েন। যার জেরে মঞ্চে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। মঞ্চে উঠতেই পারেননি তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে মাইক ধরেন সুব্রত বক্সি। বলেন, “হাওড়ার নেতারা এক্ষুণি মঞ্চ থেকে নেমে যান। এটা গুন্ডামি করার জায়গা নয়। আপনাদের ছাড়াই ধর্না চলবে।“ এরপর রাজ্য নেতৃত্বই ধর্না চালিয়ে নিয়ে যান।

বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি আমাদের এই আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারের ধর্মীয় বিভাজন ও হিংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধেও।

তৃণমূলের (TMC) অন্যতম মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্রীয় সরকারের উইকেট বাঁচানোর লড়াই। বাংলার মানুষ এমন বোলিং করবে, বাংলার ১৮ জন বিজেপি সাংসদ একে একে বোল্ড আউট হয়ে যাবে।