শাসকদলের তরফ থেকে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের রেয়াত করা হবে না। শনিবার, রেড রোডের ধর্না মঞ্চে থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনার নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) জানান, তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে অভিযুক্ত সন্দেশখালির জেলা পরিষদ সদস্য, অঞ্চল কমিটির সভাপতি উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হল।

এদিন, পার্থ ভৌমিক জানান, আমরা তৃণমূলকে ভালবাসি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবসি। তৃণমূল কখনই মানুষের সঙ্গে অসভ্য আচরণকে প্রশ্রয় দেয় না। পার্থ জানান উত্তম সর্দার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। অভব্য আচারণ করছেন। লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছেন। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা পরিষদের সদস্য ও অঞ্চল সভাপতিকে উত্তমকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। ধর্না মঞ্চেই পার্থ জানান, এ ধরনের অভিযোগ দল বরদাস্ত করে না। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হল। পার্থ ভৌমিক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলগতভাবে তদন্ত হবে। সেই মতো চারজনের একটি কমিটি তৈরি হয়। সেখানে তিনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, রথীন ঘোষ ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ছিলেন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই দল সিদ্ধান্ত নেয় আজ থেকে ৬ বছরের জন্য উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হল।

দল কোনও ভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না- বারবার জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। মমতা বলেছেন, অভিযোগ পেলে দল অভিযুক্ত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়েও যে শাসকদলের সেই অবস্থান সেটাই এবার প্রকাশ পেল।






































































































































