লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে ‘পাল্টি’ খেয়ে শিবির বদলে এনডিএর (NDA) হাত ধরেছেন বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তারপর থেকেই একের পর এক ঘটনায় ক্রমশই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এদিকে সরকার গঠনের পরই আস্থা ভোটে (Trust Vote) জেডিইউ-বিজেপি (JDU-BJP) সরকারকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন লালুপুত্র তথা বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আস্থা ভোটে নীতীশ যে কোনোভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না তা রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন লালুপুত্র তেজস্বী। তিনি বিরোধী জোটকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, খেলা এখনও অনেক বাকি। আগে দেখতে থাকুন কী কী হতে চলেছে? তবে আস্থা ভোটের দিন এগিয়ে এলে দেখা গেল একদম বিপরীত ছবি। আচমকাই নিখোঁজ তেজস্বী শিবিরের একাধিক বিধায়ক। আর এমন ঘটনা সামনে আসতেই বিহারের রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজের মুখে আস্থা ভোটে নীতীশ সরকারকে হারানোর চ্যালেঞ্জ জানালেও উল্টে তাঁর ঘরেই এবার বড়সড় ভাঙন। তবে বিজেপির দেখানো পথেই নীতীশ কুমার চাইছেন আরজেডি বিধায়কদের দলে নিয়ে তেজস্বীকে বিহারের রাজনীতিতে (Bihar Politics) কোণঠাসা করা। আর সেই পথেই একধকাপ এগোলেন জেডিইউ সুপ্রিমো।
আস্থা ভোটের আগে হাতে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। আর এমন আবহে ১২ আরজেডি বিধায়কের ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন করে বিহারের রাজনীতিতে যে নয়া মাত্রা যোগ করল তা বলাই চলা। তবে আচমকা কোথায় উবে গেলেন তেজস্বীর দলের ১২ বিধায়ক? তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তবে এমন ঘটনার পিছনে নীতীশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তেজস্বী। তাঁর সাফ অভিযোগ, সরকার বাঁচাতে ‘অপারেশন লোটাস’ এর নামে ঘোড়া কেনাবেচা করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তবে এই বিষয়ে জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পাটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। আস্থাভোটে নয়া জোটের জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী বিজেপি-জেডিইউ। কারণ বিজেপির হাতে যেখানে রয়েছে ৭৮ আসন, সেখানে জেডিইউ-র ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ৪৫ আসন এবং তাদের জোটসঙ্গী হামের দখলে রয়েছে ৪ আসন। ইতিমধ্যে বিজেপি জোটের কাছে ১২৭ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যা প্রয়োজনের চেয়েও অনেকটাই বেশি। কিন্তু বিহারে পাশা ওলটাতে যে বেশি সময় লাগবে না তা বেশ ভালোই জানেন নীতীশ। আর সেকারণে যতক্ষণ না আস্থা ভোট হচ্ছে ততক্ষন চিন্তা পিছু ছাড়ছে না। তবে নিজেদের জয় পাকা করতেই এবার তেজস্বীর বিধায়কদের দল ভাঙিয়ে বড় চমক নীতীশ দিতে পারেন কী না সেদিকে নজর থাকবে।