সপ্তদশ লোকসভার অধিবেশনের শেষদিনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি রবে কেঁপে উঠল সংসদ কক্ষ। রামমন্দির প্রস্তাব নিয়ে শনিবার লোকসভায় আলোচনা হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে মোদির মুখে শোনা গেল রামনাম। শেষ দিনের অধিবেশনেও বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার্তা দিয়ে জানালেন, “আগামী ২৫ বছরে উন্নত ভারত গঠন করব আমরা।”

শনিবার বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে সংসদে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সংসদে রামমন্দির নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেশের ঐতিহ্য, সাংবিধানিক কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে।” এর পরই বিরোধীদের খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কেউ কেউ এ বিষয়ে কথা বলার সাহস দেখান। কেউ কেউ আবার ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যান।” তবে এদিনের আলোচনায় ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশে’র মন্ত্র ছিল বলেই মত প্রধানমন্ত্রীর। এদিনের বক্তব্যে গত ৫ বছরের সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদি। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণায় সাফল্য সবই উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারতবর্ষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত পাঁচ বছরে অনেক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশ দ্রুত গতিতে বড় বদলের দিকে এগিয়েছে। কয়েক দশক ধরে দেশ একই সংবিধানের স্বপ্ন দেখেছিল। জম্মু কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। আজ জম্মু কাশ্মীরের মানুষকে সামাজিক ন্যায় পৌঁছে দিয়ে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত আইন তৈরি করেছি। ভারত পুরোপুরি ভাবে সন্ত্রাসের থাবা থেকে মুক্তি পাবে, সেই স্বপ্নও শিগগিরই পূরণ হবে। ৭৫ বছর ধরে আমরা ইংরেজ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধিকে আঁকড়ে ছিলাম, কিন্তু আগামী প্রজন্ম ন্যায় সংহিতাকে চিনবে।” এরপর বক্তব্যের শেষ অংশে মোদি বলেন, “আগামী পঁচিশ বছর দেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছবেই। এই সময় কালের মধ্যে উন্নত ভারত তৈরি হবেই। মানুষের জীবন থেকে সরকারের হস্তক্ষেপ যত কমানো যায়, সেরকম সমৃদ্ধ গণতন্ত্র তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা তা করব।”










































































































































