জয়ে ফিরল মোহনবাগান, হায়দরাবাদ এফসিকে হারালো ২-০ গোলে

0
1

যুবভারতীতে দুরন্ত জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এদিন হায়দরাবাদ এফসিকে হারাল ২-০ গোলে। অবশেষে জয় পেন মোহনবাগান। আইএসএল-এ চার ম্যাচ পর জয় পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুনের জয় ২-০ গোলে। বাগানের হয়ে গোল দুটি করেন অনিরুদ্ধ থাপা এবং জেসন ক্যামিন্সের। এদিকে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরেই মাঠে নেমে পড়লেন জনি কাউকো। তিনি মাঠে আসার পর গোল না এলেও খেলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মনবীর সিংরা কিছুটা হলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন তা বলাই যায়।

ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাপায় হাবাসের দল। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় অনিরুদ্ধ থাপার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কর্ণার থেকে ভাসানো বল হায়দরাবাদের একেবারে গোলমুখে পেয়ে যান অনিরুদ্ধ। বল জালে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। ১৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা হয়নি। ক্যামিন্সের শটে বল মাঠের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধেই জেসন ক্যামিন্সের গোলে ২-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ফাস্ট হাফের অ্যাডেড টাইমে মনবীরের সাজিয়ে দেওয়া বলে পা ছুইয়ে গোল করেন বিশ্বকাপার। ফর্ম একেবারেই ভাল জায়গায় ছিল না ক্যামিন্সের, ফলে তিনি বেশ চাপেই ছিলেন বলা যায়। অবশেষে সেই চাপটা অনেকটা কেটে গেল এই গোলের পর। এর পরের ম্যাচ শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। তাই এই গোল তাঁকে আত্মবিশ্বাস দেবে সেই ম্যাচের আগে।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ঝাঁঝা বজায় রাখে মোহনবাগান। ৫১ মিনিটের মাথায় পেত্রাতোসের জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বল ক্রসবার ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে যায়। শট টার্গেটে থাকলে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মোহনবাগান। ৬০ মিনিটের মাথায় ছুঙ্গার পাস থেকে বল ধরে মোহনবাগানের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন সানি। তবে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৬১ মিনিটে সাহালকে তুলে নিয়ে জনি কাউকোকে মাঠে নামান হাবাস । এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সবুজ-মেরুন।

আরও পড়ুন- ফোন চুরি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, থানায় অভিযোগ দায়ের