লোকসভা ভোটের আগে নিয়োগ ক্ষেত্রে ফের রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির শূন্যপদে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। নবান্নের তত্ত্বাবধানে জেলাশাসকের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ কমিটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
শশী পাঁজা জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে মহিলা কর্মী ও সহায়িকা থাকেন। বর্তমানে ২১ হাজার ৪৯২ কর্মী ও ১৩ হাজার ৯০৬টি সহায়িকার পদ শূন্য রয়েছে। সব মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৯৮টি।
নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু আইনি জটিলতা প্রথমে তৈরি হয়েছিল। তা মিটলেও কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মকানুনের পরিবর্তন করে দেয়। তাই ইচ্ছে থাকলেও নিয়োগ করা যাচ্ছিল না। এতদিন কর্মী পদে নিযুক্তির জন্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক ও সহায়িকা পদের জন্য অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হতো। কেন্দ্র এই নিয়ম বদলে দু’টি পদের জন্যই উচ্চ মাধ্যমিক পাশকে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধার্য করে। আগে নিয়োগের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৪৫ বছর। সেটাও কমিয়ে ১৮ থেকে ৩৫ বছর করা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আপত্তি করেছিল। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যাঁরা সহায়িকা হয়েছেন, কর্মী পদে তাঁদের পদোন্নতি আটকাবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্য অন্তত ১০ বছর সহায়িকার কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে।