১৮৯৭
জাকির হুসেন
(১৮৯৭-১৯৬৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি। তিনি মে ১৩, ১৯৬৭ থেকে মে ৩, ১৯৬৯ তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতিপদে কর্মরত ছিলেন। দেশের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রপতি। এর আগে তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বিহারের গভর্নর হিসেবে এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪১
জগজিৎ সিং
(১৯৪১-২০১১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আসল নাম জগমোহন সিং। গজল-সম্রাট। ভারতের ফিল্মি গানের ধারার বাইরে থেকেও অত্যন্ত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি পাঞ্জাবি, হিন্দি, উর্দু, বাংলা, গুজরাতি, সিন্ধি ও নেপালি ভাষাতেও গান গেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে সংগীত ও সংস্কৃতি জগতে অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
১৯১২
গিরিশ চন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪-১৯১২) এদিন বাগবাজারে প্রয়াত হন। শেষ অভিনয় করলেন ১৯১১-তে। নাটক ‘বলিদান’-এ করুণাময়ের চরিত্রে। সেদিন খুব বৃষ্টি। হাঁপের টান নিয়ে বারবার খালি গায়ে স্টেজে আসতে হচ্ছে গিরিশকে। অসুস্থ হলেন। রোগশয্যায় নিবেদিতাকে উৎসর্গ করে লিখলেন শেষ নাটক ‘তপোবল’। বুকের জ্বালা যেন বেড়েই চলেছে। ঘুম নেই! সারাক্ষণ বসে থাকেন। আর বলেন, ‘‘প্রভু, আর কেন, শান্তি দাও, শান্তি দাও, শান্তি দাও!’’ চলেই গেলেন! বৃষ্টিতে ছেয়ে রয়েছে আকাশ। তার পেয়ে ফরিদপুর থেকে ফিরলেন ছেলে দানিবাবু। গহন রাত। মহল্লা মাতোয়ারা সংকীর্তনে। শেষ সময় গিরিশের মৃদু কণ্ঠে শোনা গেল শ্রীরামকৃষ্ণ-নাম!
২০০৫
গুগল ম্যাপ চালু হল এদিন। গুগল মানচিত্র হল গুগল দ্বারা তৈরি ও উন্নয়নকৃত একটি ওয়েব মানচিত্রায়ন পরিষেবা। এটি উপগ্রহ চিত্রাবলি, রাস্তার মানচিত্র, রাস্তার ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা (রাস্তার দৃশ্য বা স্ট্রিট ভিউ), বাস্তব-সময়ের ট্রাফিক অবস্থা (গুগল ট্রাফিক) পরিষেবা প্রদান করে।
১৯৯৫
কল্পনা দত্ত
(১৯১৩-১৯৯৫) এদিন নয়াদিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজ প্রথমদিকে পরোক্ষভাবে অংশ নিতে শুরু করলেও বিশ শতকে ১৯৩০ এর দশক থেকে নারীরা সশস্ত্র জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। ব্রিটিশ সরকার পুলিশি অত্যাচার, গ্রেফতার, নির্বাসন প্রভৃতি নির্যাতন চালাতে থাকলেও নারীদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। বিংশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার যেসব নারী ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ছিলেন অন্যতম। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কল্পনা দত্ত ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী চট্টগ্রামের গৈরালা গ্রামে ব্রিটিশ ফৌজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর ১৯৩৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাঁদের গোপন ডেরা ঘিরে ফেললে কল্পনা দত্ত পালাতে সক্ষম হলেও মাস্টারদা সূর্য সেন পুলিশের হাতে বন্দি হন। কিছুদিন পর কল্পনা দত্ত এবং তাঁর কিছু সহযোদ্ধা গৈরালা গ্রামে পুলিশের সঙ্গে অন্য একটি সংঘর্ষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বিচারে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলায় মাস্টারদা সূর্য সেনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ও কল্পনা দত্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসির পর তাঁর বন্দিজীবন কাটে মেদিনীপুর জেলে।